রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে

শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের নেতৃবৃন্দ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥
শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের নেতৃবৃন্দ

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ, ইনডেক্সারী শিক্ষকদের বদলি ও জোরপূর্বক পদত্যাগকারী শিক্ষকদের পুনর্বহালসহ বিভিন্ন দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নিকট ২ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’ এ স্মারকলিপি প্রদান করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জসিম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী, বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান বাবুল, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সহ-সভাপতি সাহিদুল আলম, বাংলাদেশ মাধ্যমিক কারিগরি শিক্ষক পরিষদের মহাসচিব মোঃ আবুল বাশার, বাংলাদেশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক পরিষদের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আবু তালেব সোহাগ, বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, গণতান্ত্রিক শিক্ষক শক্তির মহাসচিব মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ প্রিন্স ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম।

উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে শিক্ষক নেতা জসিম উদ্দিন আহমেদ ও শিক্ষক নেতা মোঃ মজিবুর রহমান শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে মিলিত হয়ে সংক্ষিপ্ত বৈঠকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি শিক্ষকরা জাতীয়করণের আন্দোলন করে আসছেন। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হলেও তা পূরণ হয়নি। যার ফলে দেশের ৯৭ ভাগ শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনাকারী শিক্ষকগণকে বৈষম্য বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। কেবলমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, শতকরা ২৫ ভাগ উৎসব বোনাস ও ৫ শত টাকা চিকিৎসা ভাতা পাচ্ছে শিক্ষকরা। বৈষম্য এখানেই শেষ নয়, বেতন থেকে ১০% কেটে নিচ্ছে, এরও হিসেব শিক্ষকরা পাচ্ছেন না। বেতন কেটে নেয়ার এ পদ্ধতি অন্য কোনো সরকারি পেশায় নেই। বেসরকারি শিক্ষকরা এমনিতেই বেতন বৈষম্যের শিকার, উপরন্তু টাকা কেটে নিচ্ছে। ফলে দুর্মূল্যের বাজারে শিক্ষক পরিবারের জীবন নির্বাহ করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি এবং জোরপূর্বকভাবে পদত্যাগকারী শিক্ষকদেরকে পুনর্বহালের দাবিসহ প্রধান শিক্ষক ও সহ-প্রধান শিক্ষক নিয়োগ কমিশনের মাধ্যমে নেয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন।

এদিকে শিক্ষক নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন প্রধান শিক্ষক নিয়োগে সরাসরি সহকারী শিক্ষকদের থেকে নেয়ারও দাবি জানান। শিক্ষকদের বক্তব্য শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ নীতিগতভাবে সমর্থন করেন এবং তিনি পুরো বিষয়গুলো পাঠ করবেন এবং পর্যবেক্ষণ করে সঠিক পদক্ষেপ নেয়ারও আশ্বাস দেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়