রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুর সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়

ফিল্ড সুপারভাইজার রবিউল এখন কোটিপতি!

রয়েছে তার ৫ তলা ফাউন্ডেশনের দুটি ভবন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
ফিল্ড সুপারভাইজার রবিউল এখন কোটিপতি!

চাঁদপুর সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ফিল্ড সুপারভাইজার রবিউল হোসেন এখন কোটিপতি বনে গেছেন। সামান্য ২১ হাজার টাকা বেতনের চাকুরিতে যেন তার অনেকটা ভাগ্য বদলে গেছে। যার ফলে চাঁদপুর শহরেই একে একে দুই দুটি ৫তলা ফাউন্ডেশনের দ্বিতল ভবন করেছেন। এছাড়া নামে বেনামে একাধিক সম্পদের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

জানা যায়, হাইমচর উপজেলার এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রবিউল। এসএসসির পর এক সময় দারিদ্র্যের কারণে ঢাকায় চলে যান। এক পর্যায়ে সমাজসেবায় ফিল্ড অফিসার হিসেবে চাকুরি পান।আর এটিই যেন তার কাছে আলাদীনের চেরাগের মতো ভাগ্যকে বদলে দেয়।স্ত্রী পান্না রহমানকেও একই পদে সমাজসেবায় চাকুরি পাইয়ে দেন । বিশেষ করে রবিউল চাঁদপুর সদর উপজেলায় নিজের একটি শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেন। যার ফলে তাকে যেখানেই বদলি করা হয় ঘুরে ফিরে আবার চাঁদপুর সদরেই চলে আসেন।পুরো সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিস যেন তার নিয়ন্ত্রণে চলে। তিনি অফিসের একক কর্তাব্যক্তি হয়ে উঠেন। এমন অভিযোগও রয়েছে যে, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাও তার ইশারায় চলেন। ফলে এমন সুযোগ কাজে লাগাতে মোটেও ভুল করেনি রবিউল। যার ফলে পুরো অফিসকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নীরবে মোটা অংকের টাকা কামিয়ে যাচ্ছেন রবিউল । এর ফলে চাঁদপুর শহরেই একে একে গড়ে তোলেছেন দুই দুটি ৫তলা ফাউন্ডেশনের বাড়ি । শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন (পলাশ ভবনের পাশই) একটি ও তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের তেঁতুলতলায় আরো একটি ৫ তলা ফাউন্ডেশনের বাড়ি রয়েছে রবিউলের।এছাড়াও নামে বেনামে তার ও তার স্ত্রী পান্না রহমানের নামে একাধিক সম্পদের অভিযোগ রয়েছে। এই ফিল্ড অফিসার নিয়মিত ফেসবুকে বিভিন্ন ওয়াজ, দোয়া, কালামসহ হাদিস পাঠ করেন। দেখলে মনে হয় বড়ো কোনো মাওলানা।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ফিল্ড সুপারভাইজার রবিউল হোসেন বলেন, আমার মাও চাকুরি করতেন এবং আমার স্ত্রীও চাকুরি করে। আমি অনেক দেনা করে এই বাড়ির কাজ করতেছি। এখনো অফিস থেকে ১ লাখ টাকা লোন চেয়েছি। নিচ তলায় মসজিদ করেছি।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন, আমার জানা মতে সে ২০২০ সাল থেকে এখানে আছে। মাঝখানে মতলব বদলি হয়েছিল, তারপর আবার চলে এসেছে। আমার অফিসে বাড়তি কোনো ইনকামের সুযোগ নেই। সে কীভাবে কী করছে সেটা তার কাছ থেকে জানলে ভালো হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়