প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
হাজীগঞ্জে সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারায় আদালতে মামলা ॥ রিসিভার নিয়োগ
হাজীগঞ্জে সম্পত্তি দখলে নেয়ার পাঁয়তারায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে রিসিভার নিয়োগ করা হয়। ঘটনাটি উপজেলার সেন্দ্রা দক্ষিণ বাজারের গাউসুল আজম সুপার মার্কেটের। সেই মার্কেটের একটি দোকানঘর জোরপূর্বক ভেঙ্গে দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করছে সেলিম ভূঁইয়া গং-- এমন অভিযোগ আনেন মার্কেটের স্বত্বাধিকারী মোঃ আবদুল মমিন ভূঁইয়া।
মামলার বাদী ও গাউসুল আজম সুপার মার্কেটের স্বত্বাধিকারী মোঃ আবদুল মমিন ভূঁইয়া জানান, আমার মালিকানাধীন সেন্দ্রা দক্ষিণ বাজারের গাউসুল আজম সুপার মার্কেটের একটি দোকানঘর জোরপূর্বক ভেঙ্গে দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করছে সেলিম ভূঁইয়া গং। গত ৫ আগস্ট সেলিম ভূঁইয়া গং একদল সন্ত্রাসী নিয়ে মার্কেটে হামলা করেন এবং মার্কেটে থাকা বেশ ক'জন ব্যবসায়ীর মালামাল লুট করে নেয়া ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। তার পরপরই মার্কেটে থাকা ব্যবসায়ীরা মার্কেটের দোকান বন্ধ করে চলে যান। পরবর্তীতে ওইদিনই সন্ধ্যার পর পর পুনরায় সেলিম ভূঁইয়া গং সন্ত্রাসী নিয়ে মার্কেটের সার্টার ও দেয়াল ভেঙ্গে একটি দোকানঘর দখলে নেয়ার পাঁয়তারা চালায়। আমি ১১ আগস্ট চাঁদপুর আদালতে সেলিম ভূঁইয়া (৫২), মোঃ সজিব (২১) ও নাছির উল্যা পাটওয়ারী রিপন (৪০) এই তিন জনের বিরুদ্ধে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৪৫ ধারায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি।
তিনি আরো জানান, মামলা দায়েরের পর মহামান্য আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নথি পর্যালোচনা করে অস্থায়ী স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হাজীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। আদেশ মতে হাজীগঞ্জ থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে দখলে নেয়া দোকানঘরটিতে তালা দিয়ে উভয় পক্ষকে আদালতের নির্দেশনা মানতে অনুরোধ করেন। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে সেলিম ভূঁইয়া গং-কে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
মোঃ আবদুল মমিন ভূঁইয়া জানান, সেন্দ্রা মৌজারে বি.এস. ১২১নং খতিয়ানভুক্ত বি.এস. ১১৪৩ দাগের ১৯ শতাংশ ভূমিতে আমার মার্কেট। উক্ত মার্কেটের দোকানগুলো আমি বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট ভাড়া দেই। আমার মার্কেটের উত্তর পাশের দোকানটি ‘নার্গিস সুইটস’-এর কাছে ভাড়া দেই। উক্ত দোকানঘরটি সেলিম ভূঁইয়া গং ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী লোক নিয়ে ভাংচুর করে ও দখলে নেয়ার পাঁয়তারা লিপ্ত। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় গত ১৫ মে ২০২৩ খ্রিঃ ও ১৯ মে ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে দুটি অভিযোগও রয়েছে। তবুও সেলিম ভূঁইয়া গং একের পর এক সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারায় লিপ্ত। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট আবারও আমার দোকানঘর ভাংচুর করে দখলের পাঁয়তারা করে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের ও মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে সেলিম ভূঁইয়া গংয়ের হুমকিতে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, আদালতের আদেশ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাসহ আমি উপস্থিত হয়ে উক্ত দোকানঘরটিতে তালা লাগিয়ে দেই এবং উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর কোনো আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।