বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
  •   নির্মাণের এক বছর না যেতেই ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের বেহাল দশা
  •   শেষ হলো পদ্মা-মেঘনায় জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা
  •   ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  •   মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

বাড্ডায় গুলিতে নিহত লাইনম্যান হান্নানের নববধূ ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

কামরুজ্জামান টুটুল ॥
বাড্ডায় গুলিতে নিহত লাইনম্যান হান্নানের নববধূ ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হান্নান (৩২) বিয়ে করেছেন ৭ মাস আগে। স্ত্রী মুক্তা আক্তার (১৮) ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের পুরো ৭ মাসের মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান স্বামী হান্নান। গত ২০ জুলাই শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোটা আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হন হান্নান। পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ২২ জুলাই রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান তিনি। তিনি হাজীগঞ্জের ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মৈশামুড়া গ্রামের বড় বাড়ির আমিন মিয়ার ৬ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট। হান্নান বাড্ডার একটি বেকারীতে লাইনম্যান হিসেবে কাজ করতেন। তিনি কাজ সেরে বাসায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন। হান্নান নিজে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং তারা পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে ‘এ হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন শেখের বেটি হাসিনা করেন’,-এটা প্রত্যাশা করেন হান্নানের স্ত্রী মুক্তা ও বৃদ্ধ বাবা আমিন মিয়া।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হান্নান নিজে স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ৫ ভাইয়ের মধ্যে একাধিক ভাই সক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগ করতেন ও করেন। এলাকায় এক নামে আওয়ামী লীগ পরিবার হিসেবে সুনাম রয়েছে পরিবারটির। কোটা সংস্কারের নামে রাস্তার আন্দোলনে পরিবারের ছোট ছেলে গুলিবিদ্ধ মারা যাওয়ার কারণে পরিবারটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হান্নানের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অজন দাস।

নিহতের স্ত্রী মুক্তা আক্তার জানান, গত জুন মাসে কোরবানি ঈদ বাড়িতে করে ২৭ জুন কাজে চলে যান হান্নান। প্রতিদিন ভিডিও কল, অডিও কলে একাধিক বার কথা হতো। ঘটনার দিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কথা হয় হান্নানের সাথে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাসুর রহিম তার স্ত্রীকে ফোনে জানান, হান্নান কাজ থেকে ফেরার পথে হাঁটুতে গুলি লেগে মারাত্মক আহত হন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

মুক্তা জানান, শুক্রবার সকালে গুলিবিদ্ধ হবার পর থেকে তার আপন দুই ভাইয়ের সেবায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সোমবার তিনি সেখানে মারা যান। সোমবার রাতে বাড়িতে এনে মাটি দেয়া হয় বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মুক্তা।

হান্নানের বাবা আমিন মিয়া জানান, বিদেশে বিরাজ্যে (ঢাকা) কাউকে চিনিনা, জানিনা, কারা কেন আমার সন্তানকে গুলি করে হত্যা করেছে তার বিচার আমি চাই। নিজে মামলা করবেন না জানিয়ে বলেন, শেখের বেটি হাসিনার কাছে দিলাম আমার সন্তান হত্যার বিচার।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাজী নুরুর রহমান বেলাল জানান, পুরো পরিবারটি আওয়ামী লীগ করে। শুনেছি হান্নান ঢাকায় বেকারীর কাজ করতো আর সে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ হান্নানের মৃত্যুর বিষয়টি চাঁদপুর কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়