প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
হাজীগঞ্জে দুর্বৃত্তের ছোড়া পেট্রোল বোমায় দগ্ধ কাভার্ডভ্যান হেলপারের মৃত্যু
হাজীগঞ্জে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোল বোমা হামলায় অগ্নিদগ্ধ কাভার্ডভ্যান হেলপার আব্দুল মজিদ (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে মারা যান তিনি। আইনি প্রক্রিয়ার পর শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে জানাজা শেষে তার নিজ এলাকা খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার রসূলপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়। তিনি এই বাড়ির আমিন মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ও নিহতের বড় ভাই আব্দুল মহিন।
১৯ জুলাই (শুক্রবার) রাতে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন কাজীরগাঁও এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোল বোমা হামলায় অগ্নিদগ্ধ হন আব্দুল মজিদ।
পুলিশ জানায়, সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৯ জুলাই (শুক্রবার) হাজীগঞ্জে সংঘর্ষ, হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন মকিমাবাদ ও কাজিরগাঁও গ্রামের সংযোগস্থল চাঁদপুর-লাকসাম রেলসড়কের ক্রসিং এলাকায় রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরিপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে সিমেন্টবাহী একটি কাভার্ডভ্যানে (চট্ট মেট্রো শ ১১-১৫৯৯) পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা।
এ সময় কাভার্ডভ্যানের সামনের অংশে (ইঞ্জিনে) আগুন ধরে যায়। তখনই হেলপার আব্দুল মজিদ দগ্ধ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হেলপার আব্দুল মজিদকে (২৮) উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আগুনে তার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
নিহত মজিদের বড় ভাই আব্দুল মহিন মুঠোফোনে জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে মজিদ দ্বিতীয়। আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলো মজিদ। তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সে মারা যায় এবং শুক্রবার রাতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জের কাজিরগাঁও এলাকায় কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, হাজীগঞ্জে সংঘর্ষ, হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এ পর্যন্ত চারটি মামলা দায়ের এবং ২৫ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কাভার্ডভ্যানে পেট্রোল বোমা ছোড়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।