প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০০
বাবুরহাট বাজারে ফুটপাত ভাড়া দিয়ে টাকা আদায়
গাড়ি লোড-আনলোডের জায়গাও দখল হয়ে গেছে
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাবুরহাট বাজারে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়মের কারণে বাজারটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। বাজারে নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকা সত্ত্বেও দেখা দিয়েছে নানা অনিয়ম। বাজারের বিভিন্ন অনিয়মই এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। ফুটপাতের দখলে রয়েছে বাজার। গত সোমবার সরজমিনে বাবুরহাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার উপর দোকান বসানোর মেলা। বাজারের চলাচলের রাস্তার উভয় পাশে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। বাজারের চলাচলের রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ক্রেতা সাধারণের।
বাজারে আসা ক’জন ক্রেতা বলেন, আমরা বাজারে চালসহ বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করে রিকশা বা অটোবাইকে করে নিতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হই। রাস্তার দু পাশে বসা দোকানিরা তাদের মালামালের সাথে কোনো কারণে রিকশা বা অটোতে লাগলে তারা গালিগালাজ করে ও তেড়ে আসেন।
জানা যায়, তারা অগ্রিম জামানত ও মাসিক ভাড়া প্রদান করে দোকান বসিয়েছেন। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলেন, বাজারে রাস্তার উপর বসা সকল দোকান ভাড়ায় চালিত। যে দোকানের সামনে রাস্তায় ফুটপাত বসে সে দোকান মালিকরা অগ্রিম জামানত ও ভাড়া নিয়ে থাকে।
জানা যায়, অনেক দোকানের চাইতে ফুটপাতে বসানো দোকানের ভাড়া বেশি আদায় করা হচ্ছে।
বাজারে সবচেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হয় পূর্ব-উত্তর ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তায়। একটি সূত্র জানায়, এখানে প্রায় ১শ’ ফুট রাস্তা ভাড়া দিয়ে ৩ জনে মাসে কয়েক হাজার টাকা আদায় করছেন। খান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ৭টি দোকান বসিয়ে মাসে অবৈধভাবে ভাড়া আদায় করছেন প্রায় ২০/২৫ হাজার টাকা। মিতু ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ২টি দোকান বসিয়ে ৪/৫ হাজার টাকা, মাহী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ২টি দোকান বসিয়ে আদায় করছেন ৭/৮ হাজার টাকা। এ বাজারে প্রায় অধিকাংশ সড়ক দখল করে রেখেছেন ফুটপাতে বসা অবৈধ দোকানি।
বাজারে দুর্ভাগ্যক্রমে কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। এতে করে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে ব্যবসায়ীদের। এতে তাদের পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় নেই। বাজারের ফুটপাত উচ্ছেদ করার জন্যে সচেতন মহল চাঁদপুর পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খায়রুল ইসলাম নয়ন মিজি বলেন, ফুটপাতের কারণে ইজারাদারের উপর প্রভাব পড়ে। দোকানদাররা পৌরসভার রাস্তাগুলো দখল করে রেখেছে। আমি নিজের উদ্যোগে মাইকিং করে সচেতন করছি। ফুটপাত দখল করে বাজারের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছে। বাজারের ২টি স্থানে গাড়ি লোড-আনলোড করতো, সে জায়গাও দখলদাররা দখল করে রেখেছে।