প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৪৮
মতলব উত্তরে চাচার ঘর ভেঙ্গে নিলো ভাতিজা
মতলব উত্তর উপজেলায় ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচার ঘর ভেঙে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি ২০২৫) সকালে ফতেহপুর পশ্চিম ইউনিয়নের দক্ষিণ নাউরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসী মানিক মিয়ার স্ত্রী রাবেয়া বেগম মতলব উত্তর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন : পশ্চিম নাউরির গ্রামের মালেক প্রধান, স্ত্রী লাইলী বেগম, ছেলে মো. কামাল হোসেন, মো. কাউছার, বাজার নাউরী গ্রামের মকরোম মোল্লার ছেলে হেলাল উদ্দিন, শহিদ উল্লাহর ছেলে জাকির হোসেন মো. শামীম, বড় হলদিয়া গ্রামের মো. জিলানী, পিতা : অজ্ঞাত, মো. মাহফুজ, পিতা : অজ্ঞাত, দক্ষিণ নাউরী গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে আবু হানিফসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন।
জানা যায়, নাউরী গ্রামে প্রবাসী মানিক মিয়ার দুটি দোচালা টিনের বসতঘর ছিল। যাতে গত মানিকের পরিবার বাস করে। একটি ঘরে এক অসহায় পরিবারকে অস্থায়ীভাবে বাস করতে দেওয়া হয়। মানিক অন্যত্র নতুন বাড়ি তৈরি করায় ঐ ঘরে রেখে দেয়। বিরোধীদের সাথে পূর্ব শত্রতা ও আদালতে একাদিক মামলা রয়েছে। সেই জের ধরে তারা বিজ্ঞ আদালতকে তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক বাড়ি দখল করার উদ্দেশ্য পুরাতন বসতঘর থেকে অসহায় পরিবারকে জোরপূর্বক বের করে দেয় এবং বসতঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় লাখ টাকা।
এ বিষয়ে বাদী রাবেয়া বেগম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি ও আমার ছেলে মো. জাহিদ হাসান বিবাদীদেরকে বাধা দিতে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করার উদ্যত হয়। এ সময় ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
তিনি বলেন, আমার স্বামী আমার শাশুড়িকে জমি বিক্রি করে হজ্জ করিয়েছেন। ওই বিক্রিত জমির সমান সমান ভাগ চায় বিবাদীগণ। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এখন তারা আমার দুইটি ঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। আমি আমার ঘর ফেরতসহ সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে অভিযুক্ত কামাল হোসেন বলেন, ওখানে জায়গা আমার ও ঘর আমাদের। আমাদের ঘর আমরা ভেঙ্গে এনেছি।