বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৪, ০০:০০

সরেজমিন প্রতিবেদন-৮ : চান্দ্রা ইউনিয়ন

পছন্দের কৃষকদেরকে দেয়া হয় কৃষি উপকরণ

সোহাঈদ খান জিয়া ॥
পছন্দের কৃষকদেরকে দেয়া হয় কৃষি উপকরণ

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা, বাখরপুর ও বালিয়া ব্লকের দায়িত্বে রয়েছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চন্দ্র নাথ দাস। তার পছন্দের কৃষকদেরকে দেয়া হচ্ছে কৃষি উপকরণ। সারের ডিলার কালু গাজীর সাথে রয়েছে কৃষি অফিসারের সুসম্পর্ক। কৃষি অফিসার এলাকায় আসলে সারের ডিলার কালু গাজীর দোকানে বসে কৃষকদের খোঁজ খবর নিয়ে চলে যান। তিনি মাঠে গিয়ে অথবা বাড়িতে গিয়ে কৃষকদের খোঁজ খবর নিতে দেখা যায় না। নিয়মিত ব্লক এলাকায় না যাওয়া তো মামুলি ব্যাপার। গুটি কয়েক প্রভাবশালী কৃষকের সাথে কথা বলা চলে যান। এভাবে চলে আসছে এ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কার্যক্রম। নিরীহ কৃষকরা সরকারি বীজ, সার ও সবজি বীজ না পেয়েও অনেকটা খুশি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চন্দ্র নাথ দাসের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে। তিনি পাশের ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। বাড়ি থেকে আসা যাওয়া করে দায়িত্ব পালন করেন।

এ ব্যাপারে মধ্য মদনা গ্রামের কৃষক মোঃ জাকির গাজী বলেন, ১-২ জন কৃষক যারা কৃষি উপকরণ পায় তারা তাদের পছন্দের লোক। আমি ২০ বছর ধরে কৃষি কাজ করে আসলেও এ বছর মেম্বারকে অনুরোধ করে ১ কেজি ধান পাই। কৃষি অফিসার মাঝে মধ্যে আসলেও দোকানের কাছ থেকে খোঁজ খবর নিয়ে চলে যান।

পূর্ব বাখরপুর গ্রামের কৃষক মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, কৃষি অফিসার মাঝে মধ্যে আসেন। দোকানের কাছে বড়ো বড়ো ১-২ জন কৃষকের সাথে কথা বলে চলে যান। আমরা সরকারি বীজ ও সার পাওয়াতো দূরের কথা, আমাদের কোনো খোঁজ-খবরও নেন না।

এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চন্দ্র নাথ দাস বলেন, আমি শুক্রবার ও শনিবারও ব্লকে যাই। পুরো ইউনিয়নে ৩ জনের দায়িত্ব আমি একা করে থাকি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়