প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৪, ০০:০০
সরেজমিন প্রতিবেদন-৭ : আশিকাটি ইউনিয়ন
কার্তিক মাসে পানি নেমে গেলে ঔষধ কোম্পানির লোক এসে ঔষধ লিখে দিয়ে চলে যান ॥ আর কেউ আসেন না
চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের হোসেনপুর ও রালদিয়া ব্লকের দায়িত্বে রয়েছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদিকা বেগম। মৌসুমের প্রথমে কার্তিক মাসে পানি নেমে গেলে ঔষধ কোম্পানির লোক এসে ঔষধ লিখে দিয়ে চলে যান। আর কেউ আসেন না। কৃষকদের খেদোক্তি : আমরা কৃষক আমরাই কৃষি অফিসার। কৃষি অফিসার না আসায় নিজেরাই নিজেদের চাষাবাদের জমিতে আগের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী চাষাবাদ করে আসছি।
ক্ষুব্ধ কৃষকরা বলেন, যারা ফসল করেন না তারা পেয়ে থাকে পেঁয়াজের দানা। এ রকমভাবে পেশাদার কৃষক ছাড়া অনেকে সার ও বীজ পেয়ে থাকে। আর প্রকৃত কৃষকরা সরকারি বীজ, সারসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদিকা বেগমের বাবার বাড়ি কুমিল্লাতে। তিনি বৈবাহিক সম্পর্কে চাঁদপুরের বউ। এ ব্যাপারে হোসেনপুর গ্রামের কৃষক মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, আমি প্রকৃত কৃষক হয়ে কোনো কিছুই পাই না। মৌসুম শেষে কার্তিক মাসে পানি চলে গেলে ঔষধ কোম্পানির দুজন লোক এসে ঔষধ লিখে দিয়ে চলে যান। তারপর আর কাউকে আসতে দেখি না। কাকে বীজ, সার দেন জানি না। ১৮ শতাংশ জমির জন্যে ৫শ’ গ্রাম পেঁয়াজের দানা পাবেন ১ জন কৃষক। কিন্তু ৩ শতাংশ জমির জন্যে ৫শ’ গ্রাম পেঁয়াজের দানা দেয়া হয়েছে ১ জন কৃষককে।
কৃষক শফিক কাজী বলেন, আমি ৩ শতাংশ জমির জন্যে ৫শ’ গ্রাম পেঁয়াজের দানা পেয়েছি। কৃষি অফিসার ঠিক মতো আসেন না। এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদিয়া বেগম বলেন, আমি মাঠে গিয়ে কৃষকদের খোঁজ খবর নেই। যে সকল কৃষক সরকারি বীজ, সার পায় না তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। সকল কৃষকের সাথে দেখা করা সম্ভব নয়। তারপরও চেষ্টা করি কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার জন্যে।