প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৪, ০০:০০
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমণ্ডএঁর ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা বিএনপির আলোচনা সভা ও সমাবেশ
জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন তাহলে এদেশ স্বাধীন হতো না
-----কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূঁইয়া
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমণ্ডএঁর ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে চাঁদপুর জেলা বিএনপি।
৩১ মে শুক্রবার বিকেলে শহরের চিত্রলেখা মোড়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সমাবেশে জেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতৃবৃন্দ সভাস্থলে উপস্থিত হন।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূঁইয়া।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুরের মাটি বিএনপির ঘাঁটি, বেগম খালেদা জিয়ার ঘাঁটি, তারেক রহমানের ঘাঁটি, শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের ঘাঁটি। আজকে নেতা-কর্মীদের বিপুল উপস্থিতি সেটাই প্রমাণ করে।
তিনি বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন তাহলে এদেশ স্বাধীন হতো না। আজকে দেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই, আইনের শাসন নেই। সুশাসন বলতে কিছুই নেই। মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দিশেহারা। ঠিকমতো গ্যাস, বিদ্যুৎসহ মৌলিক চাহিদাগুলো অনেক কিছুই পাচ্ছে না। তিনি বলেন, অবৈধ ভোট চোর, ভোট ডাকাত সরকারের পালিত চামচারা একের পর এক ফেঁসে যাচ্ছে। আজকে জনগণ আজিজ-বেনজিরের বিচার করবে। বিএনপি অচিরেই ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আমরা অক্ষরে অক্ষরে সবকিছুর বিচার করবো। আজকে ভারতে শিরোনাম কি? মোদি এখন শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করছে।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেক এলাকায় বিএনপির সাথে সমন্বয় করে সবাই একত্রিত থাকার চেষ্টা করবেন। অতি সহসায় আমাদের কাছে বার্তা আসবে, সময় মতো আপনাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, অন্যায়কারীরা পার পাবে না। অবৈধ সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যারা জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলো একে একে তাদের খবর ফাঁস হচ্ছে। মিডিয়ার মাধ্যমে এখন জনগণ কার ৩৬০টা দলিল, তার খবরও জানতে পারছে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন মাঝি, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির চৌধুরী ও হাজী মোশাররফ হোসেনের যৌথ পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা রাশেদা বেগম হীরা, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এমএ হান্নান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ডাঃ সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, জসিম উদ্দিন খান বাবুল, এমএ শুক্কুর পাটওয়ারী, দেওয়ান মোঃ সফিকুজ্জামান, চাঁদপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ হারুনুর রশিদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আফজাল হোসেন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডঃ মনিরা চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ নূরুল আমিন খান আকাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হযরত আলী ঢালী প্রমুখ।
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব আনোয়ার বাবলু, সহ-সভাপতি শরীফ মোহাম্মদ ইউনুছ, ফেরদৌস আলম বাবু, ডিএম শাহজাহান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।