প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৪, ০০:০০
কুরবানির আগে চাঁদপুরে প্রায় ৩শ’ কসাইকে প্রশিক্ষণ
রোগা ও মোটাতাজা গবাদিপশু নির্ণয়ে কাজ করছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ
কুরবানির আগেই মাংস প্রক্রিয়াজাতকারী ব্যক্তি হিসেবে ধাপে ধাপে চাঁদপুরের প্রায় ৩শ’ কসাইকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। যাতে করে সুন্দর, সাবলীল ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাংস ছাড়ানোর উপায় সম্পর্কে তারা জানতে পেরেছে।
২৯ মে বুধবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জ্যোতির্ময় ভৌমিক। কসাইদেরকে ২০২৩ সালের অক্টোবর হতে ২০২৪-এর মে পর্যন্ত সময়ে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।
এক তথ্যে দেখা যায়, কসাইদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এই সময় সুস্থ রাখতে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৪২ মাত্রায় গবাদিপশু, ৫৩ লাখ ৪০ হাজার মাত্রায় হাঁস-মুরগীকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে নানা রোগে ১ লাখ ৩২ হাজার ১০টি গবাদি পশু, ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬১টি হাঁস-মুরগী ও ৭শ’ ১৬টি পোষা প্রাণীকেও চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
ডাঃ জ্যোতির্ময় ভৌমিক বলেন, আমি এ জেলায় যোগদান করে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৫৮ জন খামারীকে প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছি। মাংস প্রক্রিয়াজাতকারী ব্যক্তি হিসেবে শুধু কসাইদেরকেই নয়, এরসাথে ইমামদেরকেও প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছি। এছাড়াও নানা কারণে এখন পর্যন্ত ১১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কুরবানির আগেই আমরা মেডিকেল টিম গঠনে কাজ করছি। প্রতিটি হাটে বাজারে মোটা তাজাকরণ ও রোগাক্রান্ত গবাদিপশুর রোগ নির্ণয়সহ যাবতীয় সমস্যায় তারা মাঠে কাজ করবে। মানুষ এই দপ্তরের সকল সেবা নিয়ে সবসময় সন্তুষ্ট থাকুক-এটাই প্রত্যাশা।