প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৪, ০০:০০
সুবেদার আঃ রবের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে কিংবদন্তী যোদ্ধা মরহুম সুবেদার (অবঃ) আবদুর রবের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো ২২ মে। এ উপলক্ষে তাঁর ছেলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডঃ জাফর ইকবাল মুন্না সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি তাঁর বাবার প্রতি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আমার বাবা সুবেদার (অবঃ) আবদুর রব (আটিলারী বিভাগ) পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে চাকুরি করতেন। চাকুরি পাওয়ার সাথে সাথে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যান। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং এই যুদ্ধে তিনি একটি পদক পেয়েছেন। তারপর আমার আম্মাসহ করাচীতে বসবাস করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর আব্বা আমার আম্মা, বড় ভাই আব্দুল গাফ্ফার (নিখোঁজ আজ প্রায় ৩১ বছর) এবং আমার বড় আপাকে দেশে পাঠিয়ে দেন। আব্বা পরে ১৯৭১ সালেই দেশের অবস্থা বুঝতে পেরে দেশে চলে আসেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর চাঁদপুরের বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন এবং ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই চাঁদপুরে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আব্বাকে চাঁদপুরে চলে আসতে বলেন। তারপরই আব্বা বর্তমান সরকারি মহিলা কলেজ ও হাসান আলী হাই স্কুল মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং দেয়া শুরু করেন। ট্রেনিং দেয়ার পাশাপাশি রব বাহিনী নামে একটি বাহিনী গড়ে তোলেন।
আমার বাবা চাঁদপুর জেলাসহ লাকসাম এবং রায়পুর উপজেলার দায়িত্ব নেন।
আমার বাবা চাঁদপুর, লাকসাম এবং রায়পুরে সরাসরি অনেক যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। এমন শোনা যেত আমার বাবার নামে রব বাহিনীর নাম শুনলে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী পালিয়ে যেতো। যুদ্ধের শেষ সময়ে চাঁদপুরের ৭টি ব্যাংকের চাবি আমার বাবার কাছের ছিল। পরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি সরকারের কাছে সে চাবিগুলো জমা দেন।
আমার বাবা চাঁদপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ করেন এবং এর প্রতিষ্ঠাতা কমান্ডার ছিলেন (১৯৭২-৭৬)। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালের পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মুক্তিযাদ্ধা সংসদের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। সারাজীবন তিনি সততার সাথে জীবনযাপন করে গেছেন। ২০০৮ সালে ২২মে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আল্লাহ যেন আমার বাবাকে বেহেস্ত নসীব করেন। সবাই দোয়া করবেন।