প্রকাশ : ২২ মে ২০২৪, ০০:০০
হাজীগঞ্জে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন : ভোটার উপস্থিতি ১৮ ভাগ
গতকাল ২১ মে মঙ্গলবার হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। মোট ভোটার উপস্থিতি ছিলো ১৮.৪২ ভাগ। ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯০ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৫২ হাজার ৭৮০ জন।
সকাল ৮ টায় উপজেলার ৮৮টি কেন্দ্রে এক যোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। দিনের শুরুতে সকল কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি তেমন একটা ছিলো না। বেলা বাড়ার সাথে সাথে নারী ভোটারের উপস্থিতি কিছুটা বাড়লেও পুরুষ ভোটার উপস্থিতি ছিলো স্বাভাবিকের চেয়ে কম।
প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন মিয়াজী ও হাজী জসিম উদ্দিন দুজনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়াতে সকল কেন্দ্রেই আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুই প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেছে। অনেক কেন্দ্রে আর বুথগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, কোনো কোনো প্রার্থীর এজেন্ট ছিলো না।
ভোটার উপস্থিতি যৎসামান্য হওয়ার কারণে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে গল্প গুজব করে অলস সময় কাটিয়েছেন।
এই নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন মিয়াজী আনারস প্রতীকে ২৬ হাজার ৫৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিন দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭০ ভোট। মোট ভোটের ব্যবধান ১ হাজার ৫১৮। ভোটারের উপস্থিতি ১৮.৪২। চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকে ১ হাজার ৩০ ভোট পেয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আবু সুফিয়ান রানা। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে কামরুজ্জামান সুমন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রজাপতি প্রতীকে রাবেয়া আক্তার রুবি ২৮ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী রুবি বেগম পেয়েছেন ২৪ হাজার ১৯৯ ভোট। বাতিলকৃত ভোট ৫৫২টি।