প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুরে বোরো ধানে ব্যস্ত কৃষক
এবার চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পৌনে ৩ লাখ মে. টন
চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবার ইরি-বোরো চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৭২ হাজার ৭শ’ ৪৭ মে. টন নির্ধারণ করা হয়েছে বলে চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে।
হাইব্রিড, স্থানীয় ও উন্নত ফলনশীল এ-৩ জাতের ইরি-বোরোর চাষাবাদ করে থাকে চাঁদপুরের কৃষকরা। জেলার সব উপজেলাই ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়। চাঁদপুর সেচ ও মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প, মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জে ব্যাপক ইরি-বোরোর চাষাবাদ হয়। এখন বোরো ধান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। জমি থেকে ধান কাটা, মাড়াই, ধান শুকানোসহ সব কাজেই কৃষক ও গৃহস্থ পরিবারের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়ন দক্ষিণ বালিয়া গ্রামের কৃষক দুলু পাটওয়ারী (৫৫) জানান, ১২ কড়া জমিতে এবারও বোরো ধানের আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। কড়া প্রতি তিন মণ করে ধান উৎপাদন হয় তার। সেই ধান বাজারে বিক্রি করেন ৯২০ টাকা মণ দরে। ফলন ভালো হলেও ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে হতাশ এই কৃষক। তিনি বলেন, গতবারের চেয়ে এবার ধানের দাম কম।
চাঁদপুর খামার বাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে চাঁদপুর জেলায় ৬৩ হাজার ৪শ’ ৭৫ হেক্টর জমিতে ধানের চাষাবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭শ’ ৪৭ মে. টন। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান মতে উপজেলা ভিত্তিতে চাঁদপুর সদরে আবাদ ৫ হাজার ৫শ’ ৬০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২৩ হাজার ৫শ’ ২৫ মে. টন। হাজীগঞ্জে আবাদ ৯ হাজার ৬শ’ ১৬ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪১ হাজার ৬শ’ ২৩ মে. টন। শাহরাস্তিতে আবাদ ৯ হাজার ৮শ’ ৩০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪৩ হাজার ৬শ’ ৩ মে. টন। মতলব উত্তরে আবাদ ৯ হাজার ৯শ’ ৮৪ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪২ হাজার ৫শ’ ৯০ মে. টন। মতলব দক্ষিণে আবাদ ৪ হাজার ৬শ’ ৭৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৯ হাজার ৬শ’ ৭৪ মে. টন। কচুয়ায় আবাদ ১৩ হাজার ৩০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার ৩শ’ ৫৩ মে. টন। ফরিদগঞ্জে আবাদ ১০ হাজার ৯০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪৩ হাজার ৪শ’ ৩৫ মে. টন। হাইমচরে আবাদ ৬শ’ ৭০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ৯৬ মে. টন।
চাঁদপুরে ১২টি হিমাগার ও ১টি বীজভাণ্ডার রয়েছে। যাতে ৬০ হাজার মে. টন আলু সংরক্ষণ করা সম্ভব। বাকি আলু সংরক্ষণে আলুচাষীদের কৃত্রিম প্রযুক্তি দেয় কৃষি বিভাগ।