প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৪, ০০:০০
শাহরাস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪টি বসতঘর পুড়ে গেছে ॥ আহত ৩
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম
শাহরাস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিমিষেই ১৪টি বসতঘর পুড়ে গেছে। ১২ মে দুপুর সাড়ে ১১টায় উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ আলিপুর বড় বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বড় বাড়ির আব্দুল আজিজ মিন্টুর বসতঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় ঘরটিতে কেউ ছিলো না। পাশর্^বর্তী ঘরের লোকজন আগুনের ধোঁয়া দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এ সময় তারা শাহরাস্তি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে সংবাদ দিলে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এ সময় হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও এসে কাজ শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও এরই মধ্যে ১৪টি বসতঘর পুড়ে যায়। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। পুড়ে যাওয়া বসতঘরগুলোর মধ্যে রয়েছে : আব্দুল আজিজ মিন্টু, নবীর হোসেন, নূরুল আমিন, পরল আমিন, বেলায়েত হোসেন, মনির হোসেন, আব্দুল মালেক, আব্দুল খালেক, সোহেল হোসেন, জয়নাল হোসেন, শহিদ হোসেন, রশিদা খাতুন, মজিদুল হক ও রফিকুল ইসলামের বসতঘর।
ক্ষতিগ্রস্ত মোহাম্মদ নূরুল আমিন জানান, তিনি ৮ মে মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে আসেন। আগুনে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা বিভিন্ন মালামাল, টাকা ও মালয়েশিয়ার রিংগিত পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি জানান, তার অপর তিন ভাইয়ের বসত ঘরও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হওয়া আব্দুল আজিজ মিন্টুর স্ত্রী ফাতেমা বেগম জানান, তিনি এ সময় কিস্তির টাকা দিতে তার মেয়েকে নিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারে ছিলেন। সেখানে সংবাদ পেয়ে তিনি বাড়িতে ছুটে আসেন। তিনি জানান, এ সময় তার স্বামী মিন্টু কৃষি জমিতে ছিলেন।
এ ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে তিনজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন এলাকাবাসী হাবিব উল্লাহর ছেলে সোহাগ হোসেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী শাহান মিয়া ও রনি আহমেদ।
শাহরাস্তি উপজেলা ফায়ার স্টেশনের টিম লিডার আবু হাসান খান জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।
সংবাদ পেয়ে শাহরাস্তি সফরে থাকা স্থানীয় সংসদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করেন ও তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি তাদের পাশে থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এছাড়াও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।