প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৪, ০০:০০
নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত অবহিতকরণ সভা
সকলের সহযোগিতায় একটি মডেল নির্বাচন করবো আশা করছি
---------------------জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত (চাঁদপুর সদর, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি) অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২১ মে এই তিন উপজেলার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই তিন উপজেলার প্রার্থীদের নিয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আচরণবিধি সকল প্রার্থীকে মেনে চলতে হবে। আপনারা যেহেতু একই দলের প্রার্থী, তাহলে কেনো নিজেদের মধ্যে সমস্যা হবে? সকলের সহযোগিতায় আমরা একটি মডেল নির্বাচন করবো আশা করছি। আপনাদের সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রার্থীরা তাদের প্রচারপত্রে ইভিএমণ্ডএর ভোট দেয়ার পদ্ধতিটি ছেপে প্রচার করতে পারেন। এতে করে ইভিএমণ্ডএর ব্যবহার সম্পর্কে ভোটাররা অবগত হবে। প্রার্থীদের এজেন্টদের সামনে মোট কত ভোট হয়েছে তা মেশিনের ডিসপ্লেতে দেখা যায়। আর সকল তথ্য মেমোরিতে সংরক্ষণ থাকে। ভোটারদের নিয়ে উদ্ধুদ্ধকরণ সভা করা হবে। প্রার্থীরা বেশি বেশি ভোটারদের কাছে যাবেন। নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে জনগণের উপর রায় ছেড়ে দিন। এ বছর প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ভোটারদের জন্য পানির ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে। নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, সকল প্রার্থী প্রতিদিনের প্রচারণার তালিকা করে ফেলুন। কোথায় কখন পথসভা, উঠোন বৈঠক হবে তার তালিকাটি নিকটস্থ থানায় জমা দিন। তাহলে কোথাও সমস্যা হলে পুলিশ আপনাকে সহযোগিতা করতে পারবে। আমরা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য কাজ করবো। কোনো পুলিশ সদস্য কোনো প্রার্থীকে বেশি সুবিধা দিচ্ছে এমন অভিযোগ থাকলে জানাবেন, ব্যবস্থা নেবো। নির্বাচনে পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। এটি একটি আদর্শ নির্বাচন হবে। আর জনগণের রায়ে প্রার্থী নির্বাচিত হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি সম্পর্কে আপনার কর্মী, সমর্থকদের অবহিত করবেন। আর তাদের জন্য প্রার্থী অভিযুক্ত হতে পারেন। ফৌজদারি অপরাধের দায়-দায়িত্ব প্রার্থীদের নিজেকেই নিতে হবে। নির্বাচনের দিন এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয় না, বের করে দেয়া হয় এমন অভিযোগ থাকে। প্রার্থীরা আমাদের জানাবেন, আমরা আমাদের গাড়িতে করে এজেন্টদের কেন্দ্রে পৌঁছে দেবো। আবার কারা কক্ষে ঢুকতে দিচ্ছে না প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইভিএমণ্ডএ পূর্বে ভোট দানের কোনো সুযোগ নেই। ভোটদান বা ফলাফল নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে তা প্রিজাইডিং অফিসার সমাধান করবেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসার বশির আহমেদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত জামিল সৈকত, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, হাজীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দিন, শাহরাস্তি উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মুকবুল হোসেন পাটওয়ারী, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন হাওলাদার, এবিএম রেজওয়ান, শাহরাস্তি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সুফিয়ান মজুমদার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হাসিনা বেগম।
সভার শুরুতে নির্বাচনী আচরণবিধি সম্পর্কে ভিডিও ডকুমেন্টারি তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইকরামুল সিদ্দিক।
সভায় সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আইয়ুব আলী বেপারী, অ্যাডঃ হুমায়ুন কবির সুমন, মিজানুর রহমান ভূঁইয়া কালু, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হায়দার সংগ্রাম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেবেকা সুলতানা মুন্না, শিপ্রা দাসসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।