প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ফরিদগঞ্জের ১১ জনসহ চাঁদপুরের ১শ’ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ
২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১১ জনসহ চাঁদপুর জেলার ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সরকারি ভাতা বন্ধ রয়েছে। তারা সকলেই জেনারেল ওসমানী কর্তৃক সার্টিফিকেটধারী। ফরিদগঞ্জের ৪৪ জনের মধ্যে জেলার মোট ১৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ হওয়ার পরে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধারা মহামান্য হাইকোর্টে রীট করেন (রীট পিটিশন নং : ৭৮৮/১৬)। মহামান্য হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে রায় দেন। সরকারপক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। অ্যাপিলেট ডিভিশনও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে রায় দেন। রায়ের পর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করছে।
মামলা চলাকালীন ভুক্তভোগী ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম গেজেটভুক্ত হয়ে যায়। বাকি ১শ’ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম গেজেটভুক্ত না হওয়ায় তারা হতাশ। তাদের প্রশ্ন- মামলা চলাকালীন কীভাবে ৪৯ জনের নাম গেজেটভুক্ত হলো! বাকিদের দোষ কী? এর মধ্যে শুধু ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাদ পড়া ৪৪ জনের মধ্যে মামলার মূল বাদীসহ ১১ জনের গেজেট হয়। তারা হচ্ছে : মোঃ শফিকুর রহমান, মোঃ হোসেন, উষা রঞ্জন, আবু তাহের মোঃ জহিরুল ইসলাম, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, আঃ হাই, হেফজুর রহমান, মোখলেছুর রহমান, কাজী তোফায়েল ও আবুল হোসেন তালুকদার। বাকিদের গেজেট না হওয়ায় বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। তাদের প্রশ্ন, তাদেরকে বাদ দিয়ে কীভাবে ৪৯ জনের গেজেট হলো।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা ফরিদগঞ্জের মঞ্জুর আহমেদ ও আলী আহমেদ জানান, মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে জীবনবাজি রেখে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। ভাতা বন্ধ হওয়ায় বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।