বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে খাল খনন বন্ধের দাবি এলাকাবাসীর

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ॥
ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে খাল খনন বন্ধের দাবি এলাকাবাসীর

কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের গুলবাহার গ্রামে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির উপর দিয়ে খাল খনন বন্ধের দাবিতে জমির মালিকগণ ও এলাকাবাসী উপজেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কাজের সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট পৃথক পৃথক আবেদন করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গুলবাহার মৌজার উত্তর পশ্চিম প্রান্ত হতে দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত বর্তমান রাস্তার পূর্ব পাশ সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি বিদ্যমান। অনেক বছর আগে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করার ফলে জমির মালিকগণের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এখন নতুন করে যদি খাল খনন করা হয় তাহলে জমির মালিকগণ আবারো ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। খাল খনন করতে হলে জমির মালিকগণের জমির সীমানা নির্ধারণ করে খাল খনন করা হোক এমনি দাবি এলাকাবাসীর। বর্তমান নালা/খালটি রেকর্ডভুক্ত ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মধ্যে অবস্থিত। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মধ্যে খাল খনন ও মাটি কাটা বন্ধের জন্যে তারা অনুরোধ করেন। সরকারি বিধি-বিধান ও খাল খনন আইন অনুযায়ী কাজ করলে অভিযোগকারীদের কোনো আপত্তি থাকবে না। ভূমি জরিপ (সিএস, এসএ ও বিএস) অনুযায়ী খালের জায়গার অবস্থান রাস্তার কিছু অংশ এবং রাস্তার ঢালের মধ্যে অবস্থিত।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী কৃষি জমির মালিক মারফত আলী মজুমদার, মাসুদ রানা, জাহাঙ্গীর খান, বেলায়েত ও ইব্রাহিম খানসহ আরো অনেকে জানান, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির উপর স্থানীয় সরকারের অধীনে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের খাল খননের উদ্যোগ নেয়া হয়। এই খালটির এক পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় আমাদের জমির উপর এখন খালের অংশ চলে যায়। এখন খাল খনন করলে আমাদের কৃষি জমি ও বসত বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হবে। এই খাল খনন সরকারি জায়গার উপর দিয়ে গেলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বর্তমানে যেখান থেকে কাজ শুরু করার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছে ওই স্থানে খনন বন্ধ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাজাহান শিশির জানান, খাল খনন বন্ধের দাবিতে এখনো পর্যন্ত আমি কোনো লিখিত আবেদন পাইনি। আবেদন পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আলিম লিটন জানান, স্থানীয় এলাকাবাসী কর্তৃক খাল খনন বন্ধের আবেদন পেয়েছি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তিতে খালটির খনন না হয়ে সরকারি সম্পত্তিতে খাল খননের জায়গা নির্ধারণ করার জন্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর বরাবর চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়