বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

দ্বাদশ পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতার চাঁদপুর সদর ও হাইমচরের প্রান্তিক পর্ব সম্পন্ন

বিতার্কিকরা বুদ্ধি দিয়ে জয় করে আঘাত দিয়ে নয়

-----অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক
বিতার্কিকরা বুদ্ধি দিয়ে জয় করে আঘাত দিয়ে নয়

ব্যক্তি জীবনে সফলতা পেতে বিতর্ক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে : অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার

বিমল চৌধুরী ॥ ‘বিতর্কে আজ নতুন জোয়ার যুক্তিতে যুগ খুললো দুয়ার’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে, ব্যাপক আয়োজন ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশ পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২০ (বাস্তবায়ন ২০২৩-২০২৪)। গতকাল ২৭ জানুয়ারি শনিবার সকালে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের বিতার্কিকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রান্তিক পর্বটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠে বিতার্কিকদের যুক্তি-তর্ক ও তথ্যবহুল উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে। বিষয়ভিত্তিক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বিতার্কিকদের যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে প্রকাশ পায় তাদের মেধা ও শিক্ষার অভিজ্ঞতা। বিচারকসহ উপস্থিত সুধীজন বিতার্কিকদের প্রাণবন্ত উপস্থাপনা উপভোগ করেন গভীর আগ্রহ নিয়ে। তারা তুমুল করতালির মধ্য দিয়ে বিতার্কিকদের উৎসাহ প্রদান করেন। যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে পক্ষ-বিপক্ষ দল সকলেই প্রমাণ করতে চেষ্টা করেন সকলেই সমান সমান, কেউ কারো চেয়ে কম নয়। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ ও চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন (সিকেডিএফ)-এর আয়োজনে এবং পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিঃ-এর সৌজন্যে অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রান্তিক পর্বের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমান সময়ে এই ধরনের আয়োজনের ব্যাপকতা রয়েছে। আমি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল জীবন পেরিয়ে আসলেও সেখানে বিতর্ক শেখার কোনো সুযোগ পাইনি। যা খুবই প্রয়োজন ছিলো বলে আমি মনে করি। বিতর্ক এমন একটি শিক্ষা, যার মাধ্যমে অনেক কিছু শেখা যায়, জানা যায়। আজ তোমরা পক্ষ-বিপক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছ, তাতে তোমাদের হাতে লাঠি নিতে হয়নি, কারো মাথায় আঘাত না দিয়েই তোমরা জয়ী হতে পেরেছে। তা সম্ভব হয়েছে যুক্তির মাধ্যমে বিপক্ষ দলকে বুঝাতে পারার কারণে। মনে রাখবে, বিতর্ক হলো বুদ্ধির লড়াই, এই বুদ্ধির লড়াইয়ে জিততে হলে আমাদের চিন্তাকে মুক্ত করতে হবে। মনে রাখবে বিতার্কিকরা বুদ্ধি দিয়ে জয় করে আঘাত দিয়ে নয়। তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর সব কিছুই হাতিয়ার দিয়ে জয় করা যায় না। সকল হানাহানিই আলোচনার মাধ্যমে জয় করা সম্ভব। এজন্যে তোমাকে বুঝতে হবে এবং অন্যকে বোঝাতে হবে। তার জন্যে প্রয়োজন যুগোপযোগী শিক্ষা। বিতর্ক তেমনই একটি শিক্ষা, যার মাধ্যমে নিজেকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা সম্ভব। যে যত শিখবে আর জানবে তার জীবন ততই সুন্দর হবে।

চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক, চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি রোটারিয়ান কাজী শাহাদাতের সভাপতিত্বে এবং চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমির উপাধ্যক্ষ রাসেল হাসানের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সিকেডিএফের উপদেষ্টা আবৃত্তিকার সামীম আহমেদ খান, সিকেডিএফের সদর উপজেলার সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ। সদর উপজেলা সিকেডিএফের সভাপতি মোঃ মাসুদুর রহমান। প্রধান অতিথি প্রথম পর্বে অংশ নেওয়া বিজয়ী ও বিজিত বিতার্কিকদের মাঝে সফলতার প্রশংসাপত্র এবং উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। সিকেডিএফ নেতৃবৃন্দ চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমীর অধ্যক্ষ ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়ার লেখা ‘বিতর্ক সমগ্র’ বইটি প্রধান অতিথিকে উপহার স্বরূপ প্রদান করেন।

দ্বিতীয় অধিবেশন অর্থাৎ সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার। তিনি বিতার্কিকদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, যে আসে বিতর্কে সে হারে না, হয় জিতবে নতুবা শিখবে। সুন্দর জীবন গড়তে বিতর্ক শিক্ষার বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জীবনে বর্তমান সময় শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকগণ সন্তানদের জিপিএ-৫ সহ উচ্চ মাধ্যমিক থেকে শুরু করে সকল শিক্ষাক্ষেত্রে শুধু ভালো রেজাল্ট খোঁজে। কিন্তু জানতে চেষ্টা করে না সে নিজেকে কতটুকু যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে পেরেছে। একজন ডিগ্রিধারী যদি তার বলা কথা ঠিকভাবে উচ্চারণ করতে না পারে তাহলে সে যত মেধার অধিকারীই হোক না কেন কর্ম জীবনে সে অনেক পিছিয়ে পড়বে। তিনি শিক্ষার্থীদের ভালো বিতার্কিক হওয়ার উৎসাহ দিয়ে বলেন, আমি একজন আইনজীবী, আমি যদি আমার বলা কথা মাননীয় জজ সাহেবের নিকট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে না পারি তাহলে জজ সাহেব কি আমার মক্কেলকে মুক্তি দিবে বা আমার মামলা কি নিষ্পত্তি হবে ? এক্ষেত্রে ব্যর্থতায় আমার কাছে আর মক্কেল আসতে চাইবে না। তাই ব্যক্তি জীবনে সফলতা পেতে বিতর্ক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমীর অধ্যক্ষ বিশিষ্ট লেখক ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রোটারিয়ান কাজী শাহাদাত। একাডেমির উপাধ্যক্ষ রাসেল হাসানের সঞ্চালনায় শেষ পর্বে আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ বিশিষ্ট নারী নেত্রী মাহমুদা খানম, চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশনের চাঁদপুর সদর সভাপতি মোঃ মাসুদুর রহমান, চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ উজ্জ্বল হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বলাখাল মুকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক কাজী নাছির। গতকাল দিনব্যাপী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চাঁদপুর সদরসহ হাইমচরের প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের মোট ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিতার্কিক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

বিষয় ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে ‘শিশু শিক্ষায় শাসনের চেয়ে সোহাগ বেশি কার্যকর’ বিষয়ের পক্ষে আদর্শ শিশু নিকেতন (হাইমচর) ও বিপক্ষে ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চাঁদপুর অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে বিজয় লাভ করে ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর শ্রেষ্ঠ বক্তা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন জয়ী দলের দলপ্রধান অরিত্রী দেব। ‘শিশুর জন্য মা-ই উত্তম শিক্ষক’ বিষয়ের পক্ষে ইকরা মডেল একাডেমি (চাঁদপুর) ও বিপক্ষে হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (চাঁদপুর) অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিজয় অর্জন করেন। আর শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করে বিপক্ষ দলের দলপ্রধান সুমাইয়া আক্তার। ‘শিশুর নৈতিকতা শিক্ষায় পাঠ্যপুস্তক যথেষ্ট নয়’ বিষয়ের পক্ষে উত্তর শ্রীরামদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (চাঁদপুর) ও বিপক্ষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (প্রাথমিক বাবুরহাট শাখা চাঁদপুর) অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ড্যাফোডিল ইনরটারন্যাশানাল স্কুল জয়ী হয়। শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করেন জয়ী দলের দলপ্রধান সামিয়া। ‘শিশু শিক্ষায় সরকারি উদ্যোগই যথেষ্ট’ বিষয়ের পক্ষে উদয়ন শিশু বিদ্যালয় (চাঁদপুর) অংশ না নেয়ায় বিপক্ষে বাবুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (চাঁদপুর) জয়ী হয়। শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করেন দলপ্রধান ফাহমিদা সরকার।

মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে ‘উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে জানাতে বিতর্ক একটি কার্যকর মাধ্যম’ বিষয়ের পক্ষে চাঁদপুর নুরিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (চাঁদপুর) ও বিপক্ষে লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (চাঁদপুর) অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে লেডী দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় জয়লাভ করে আর শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করেন বিপক্ষ দলের দলপ্রধান হাবিবা আক্তার। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মূল হাতিয়ার প্রযুক্তি নয় যোগ্য নেতৃত্ব’ বিষয়ের পক্ষে ডিএন উচ্চ বিদ্যালয় (চাঁদপুর) ও বিপক্ষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (চাঁদপুর) অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে জয়ী হয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশানাল স্কুল। আর শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করেন জয়ী দলের দ্বিতীয় বক্তা প্রথা দে। ‘আমার দেশের রূপই পৃথিবীর সুন্দরতম রূপ’ বিষয়ের পক্ষে আক্কাছ আলী রেলওয়ে একাডেমি (চাঁদপুর) ও বিপক্ষে বহরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (চাঁদপুর) অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে জয়ী হয় বহরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করেন জয়ী দলের দলপ্রধান নাসিহা মাহতারিন। ‘পরিবেশ রক্ষায় আইন নয়, জনগণের ভূমিকাই মুখ্য’ বিষয়ের পক্ষে পুরাণবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (চাঁদপুর) ও বিপক্ষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (বাবুরহাট শাখা চাঁদপুর) অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে জয়ী হয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আর শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করেন জয়ী দলের দলপ্রধান সানজিদা আক্তার। ‘ক্রীড়া চর্চার চেয়ে সংস্কৃতি চর্চা উত্তম’ বিষয়ের পক্ষে হামানকর্দ্দি পল্লী মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় (চাঁদপুর) ও বিপক্ষে পুরাণবাজার মধুসূদন হরিসভা উচ্চ বিদ্যালয় (চাঁদপুর) অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে জয়ী হয় হামানকর্দ্দি পল্লী মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় আর শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করেন জয়ী দলের দলপ্রধান তাবাসুন নাবা। ‘ভালো ফলাফল কখনোই একটি ভালো স্কুলের মানদ- হতে পারে না’ বিষয়ের পক্ষে ষোলঘর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (চাঁদপুর) ও বিপক্ষে আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ (স্কুল শাখা চাঁদপুর) অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে জয়ী হয় আল আমিন স্কুল এন্ড কলেজ, আর শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করেন জয়ী দলের দলপ্রধান যারিন তাছনিম। ‘এখনকার তরুণরা স্বপ্ন দেখে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নের’ বিষয়ের পক্ষে জিলানী চিশতি উচ্চ বিদ্যালয় (চাঁদপুর) ও বিপক্ষে হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (চাঁদপুর) অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে জয়ী হয় হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, আর শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করেন বিপক্ষ দলের দলপ্রধান উম্মে হাবিবা। ‘কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে পুলিশের চেয়ে পিতামাতার সচেতনতাই অধিক জরুরি’ বিষয়ের পক্ষে কেভিএন উচ্চ বিদ্যালয় (হাইমচর) ও বিপক্ষে শহীদ জাবেদ স্কুল এন্ড কলেজ (স্কুল শাখা চাঁদপুর) অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে জয়ী হয় শহীদ জাবেদ স্কুল এন্ড কলেজ আর শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করেন জয়ী দলের দলপ্রধান নূর নাহার আক্তার।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চেয়ে দক্ষ জনশক্তির ভূমিকা অধিক’ বিষয়ে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (চাঁদপুর)-এর বিপক্ষে বীর প্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী একাডেমি (চাঁদপুর) অংশগ্রহণ না করায় মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় জয়ী হয়। আর শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করেন বিদ্যালয়ের দলপ্রধান তাসনিম সুফলা। ‘সামাজিক অবক্ষয় রোধে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চেয়ে সাংস্কৃতিক জাগরণ অধিক কার্যকর’ বিষয়ের পক্ষে নীলকমল ওসমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (হাইমচর) ও বিপক্ষে বাবুরহাট হাইস্কুল অংশগ্রহণ করে। আর জয়ী হয় বাবুরহাট হাইস্কুল। শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করেন বিজয়ী দলের দ্বিতীয় বক্তা ফাহিমা সরকার।

কলেজ পর্যায়ে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী রাজনৈতিক বঙ্গবন্ধুকে নয়, সাহিত্যিক বঙ্গবন্ধুকে উন্মোচিত করে’ বিষয়ের পক্ষে চাঁদপুর রেসিডেন্সিয়াল কলেজ (চাঁদপুর) ও বিপক্ষে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ (চাঁদপুর) অংশগ্রহণ করে। জয়ী হয় চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ। শ্রেষ্ঠ বক্তার কৃতিত্ব অর্জন করেন জয়ী দলের দলপ্রধান তাসনিম তাবাসুম আদিবা। ‘দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠাই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের মূল শর্ত’ বিষয়ের পক্ষে পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ (চাঁদপুর) ও বিপক্ষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ (চাঁদপুর) অংশগ্রহণ করে। জয়ী হয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ। শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করেন বিপক্ষ দলের দলপ্রধান জোবায়েদা জোয়া। ‘বঙ্গবন্ধুর সাত মার্চের ভাষণের চেয়ে ছয় দফাই অধিক কার্যকর হাতিয়ার’ বিষয়ের বাবুরহাট কলেজ-এর বিপক্ষে আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ (চাঁদপুর) অংশগ্রহণ না করায় জয়ী হয় বাবুরহাট কলেজ। শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করেন জয়ী দলের দলপ্রধান আনজুমান আরা অথৈ। ‘সরকারের সদিচ্ছার চেয়ে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট অধিক শক্তিশালী’ বিষয়ের পক্ষে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ (চাঁদপুর) ও বিপক্ষে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর) অংশগ্রহণ করে। আর জয়ী হয় চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ। শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করেন জয়ী দলের দলপ্রধান উম্মে হাবিবা মুমু।

‘দুর্নীতি প্রতিরোধে নৈতিক শিক্ষার চেয়ে আইনের কঠোর প্রয়োগ অধিক জরুরি’ বিষয়ের পক্ষে হাইমচর সরকারি কলেজ (চাঁদপুর) ও বিপক্ষে চাঁদপুর সরকারি কলেজ চাঁদপুর অংশগ্রহণ করে। আর জয়ী হয় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ও শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করেন জয়ী দলের দলপ্রধান মারিয়া জাহান।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচার কার্য সম্পন্ন করেন চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমির অধ্যক্ষ ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, উপাধ্যক্ষ রাসেল হাসান, বলাখাল মুকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক কাজী নাছির, পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান পাটোয়ারী, সিকেডিএফের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা সভাপতি মোঃ মাসুদুর রহমান, সিকেডিএফের উপদেষ্টা বিশিষ্ট আবৃত্তিকার সামীম আহমেদ খান, নারী নেত্রী মুক্তা পীযুষ, সিকেডিএফের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল হোসাইন, সিকেডিএফের সদর উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ ও বিতর্ক একাডেমির প্রশিক্ষক মোঃ শওকত হোসেন। মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন সিকেডিএফ চাঁদপুর সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সালেহ, সদর উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আজিজুল হাকিম নাহিন ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার সদস্য শামীম হাসান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়