প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
আনন্দ বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়
চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়কে আনন্দ পরিবহন (যাত্রীবাহী) বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকে। এ নিয়ে প্রতিদিনই যাত্রীদের সাথে গাড়ির স্টাফদের ঝগড়া হয়। কিন্তু এরা কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। যে কোনো সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীরা পরিচয় দিয়েও কোনো লাভ হয়না।
তাদেরকেও অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হয়। এমনকি অনেক সময় স্টাফদের দ্বারা লাঞ্ছিত হতে হয় এসব যাত্রী সাধারণকে। সিএনজি স্কুটার থেকে ৫ টাকা ভাড়া কম নিয়ে থাকে। অনেক সময় সিএনজি স্কুটারের ভাড়া দাবি করে বসে তারা। দীর্ঘদিন যাবৎ আনন্দ পরিবহন যাত্রীবাহী গাড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কলেজ ছাত্রী আমেনা, সুবর্ণা, আয়েশা ও জেসমিন জানায়, আমরা স্টুডেন্ট। আমাদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেয় না। অন্য যাত্রীদের মতো আমাদের কাছ থেকে পূর্ণ ভাড়া আদায় করে থাকে।
শ্রমজীবী সুমন, শরিফ ও জসিম জানান, আনন্দ গাড়ি দিয়ে ফরিদগঞ্জ থেকে চাঁদপুর শহরে কাজ করতে আসি। সিএনজি স্কুটার থেকে তারা ৫ টাকা ভাড়া কম নিয়ে থাকে। আমরা ফরিদগঞ্জ থেকে চাঁদপুর বাস স্টেশন দাঁড়িয়ে আনন্দ গাড়িতে করে এসে ৩৫ টাকা ভাড়া দিতে হয়। আর সিএনজি স্কুটারে করে ৪০টাকা ভাড়া দেই। সে তুলনায় আনন্দ বাস ভাড়া বেশি নিয়ে থাকে। শ্রমিক বলার পরও তারা ৫ টাকা ভাড়া কম নেয়া তো দূরের কথা উল্টো আমাদের সাথে ঝগড়া লেগে যায়। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ ব্যাপারে বাগাদী চৌরাস্তা বাজারের ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের প্রোপাইটর শাহাদাত হোসেন (বাবু), মা ফার্মেসীর স্বত্বাধিকারী হাবিব খান বলেন, প্রায় সময় যাত্রীদের সাথে আনন্দ বাসের স্টাফদের ভাড়া বেশি নেয়া নিয়ে ঝগড়া হতে দেখি। পরে তাদেরকে মিট করিয়ে দেই। আসলে তারা ভাড়া বেশি নিয়ে থাকে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আনন্দ বাসের এক স্টাফ বলে আমরা ভাড়া বেশি নেই না।