প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
অভূতপূর্ব উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে চাঁদপুরের পাঁচটি আসনে নৌকার বিজয় হতে হবে
‘আওয়ামী লীগের কোনো কর্মী নৌকার বিপক্ষে যেতে পারে না’ : জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী
নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, নৌকা জাতির পিতার প্রতীক, নৌকা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক, নৌকা উন্নয়ন-সমৃদ্ধির প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কোনো কর্মী, জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো সৈনিক নৌকার বিপক্ষে যেতে পারে না। আমি দৃঢ়তার সাথে বলছি, ২০০৮ সালে যেমনি চাঁদপুর-৩ আসনে বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডাঃ দীপু মনি বিজয় লাভ করেছেন, এবার লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে আমরা শেখ হাসিনার সৈনিকেরা নৌকার প্রার্থী ডাঃ দীপু মনিকে বিজয়ী করবো। আমি চাঁদপুর-৩ আসনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিলাম। দীপু মনি এমপি হবেন, তিনি এমপি হলে মন্ত্রী হবেন। তাতে চাঁদপুরের যে সব বড় বড় মেগা প্রকল্প রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। শুধু চাঁদপুর-৩ নয়, জেলার পাঁচটি আসনেই নৌকার প্রার্থীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে হবে।
এসব কথা বেশ আত্মবিশ্বাস এবং দৃঢ়তার সাথে বললেন চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী। তিনি গতকাল মঙ্গলবার চাঁদপুর প্রেসক্লাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা বলেন। তিনি তাঁর লিখিত বক্তব্যে চাঁদপুরের অভূতপূর্ব উন্নয়নের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে এই পনর বছরে কী অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তা আজ দৃশ্যমান। শুধু চাঁদপুরের কথাই যদি বলি- চাঁদপুর-হাইমচর নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, মেরিন একাডেমি, শতভাগ বিদ্যুৎ, বিপুল সংখ্যক স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার বহুতল ভবন নির্মাণ, রেকর্ড পরিমাণে রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট হয়েছে। ডাঃ দীপু মনি এমপির যোগ্য নেতৃত্ব এবং তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টায় গত ১৫ বছরে চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে যত উন্নয়ন হয়েছে, এক শ' বছরেও এমন উন্নয়ন হয় নি। এখানেই শেষ নয়। চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন হয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। এই দুটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য একনেকে অনুমোদন হয়ে গেছে। আধুনিক নৌ-টার্মিনালের নির্মাণ কাজ চলছে। চাঁদপুর শহর রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পেয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ক্যাম্পাসের জন্যও কাজ অনেক দূর এগিয়ে আছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজও এগিয়ে চলছে। এই বড় বড় মেগা প্রকল্পগুলো হয়ে গেলে আমরা ভিন্ন রকমের এক চাঁদপুরকে দেখবো। আর এই হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হতে হলে ডাঃ দীপু মনিকে নির্বাচিত করতে হবে। চাঁদপুরের স্বার্থে দীপু মনিকে প্রয়োজন। তাই আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে সকল মান-অভিমান, রাগ-ক্ষোভ ভুলে নৌকার পক্ষে কাজ করুন। আমার এই আহ্বান শুধু চাঁদপুর-৩ নির্বাচনী এলাকার জনগণের কাছে নয়, পুরো জেলার জনগণ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি। এসব মেগা প্রকল্প এবং অভূতপূর্ব উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হলে জেলার পাঁচটি আসনেই নৌকার বিজয় হতে হবে। আওয়ামী লীগের কোনো কর্মী নৌকার বিপক্ষে যেতে পারে না।
আলহাজ্ব ওচমান পাটওয়ারী চাঁদপুরের পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থীদের নাম উল্লেখ করে বলেন, আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে আজকের সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জেলাবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাবো, আপনারা পাঁচটিতেই নৌকার প্রার্থীদের বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন।
উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারীর ছোট ভাই আলহাজ্ব ওমর পাটওয়ারী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, গিয়াসউদ্দিন মিলন, শহিদ পাটওয়ারী, শরীফ চৌধুরী, এএইচএম আহসান উল্লাহ, বর্তমান সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।