প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলেই দেশে উন্নয়ন হয়। বিএনপি-জামাত জোট তারা আগুন দিয়ে জ্বালাও পোড়াও করে দেশে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করে আসছে। তারা দেশের ভালো চায় না। তারা গত ২৮ অক্টোবর দেশে জ্বালাও পোড়াও করেও থামেনি, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশের উপর হামলা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। হামলায় একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। একজন পুলিশকে এভাবে হত্যা করতে পারে না। বিএনপি-জামাত জোটের কাছ থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আপনারা সকলে প্রস্তুত থাকুন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতি সন্নিকটে। আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেশের উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে হবে।
৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলার চরপাথালিয়া নুরুল হুদা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইসলামাবাদ ও সুলতানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম দিকে হবে। আপনারা দলীয় নেতা-কর্মী সকলে প্রস্তুত থাকুন। এখন আর বসে থাকার সময় নেই, প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এখনই নৌকার পক্ষে কাজ করুন। বিএনপি নাটক শুরু করেছে, নির্বাচনে আসবে না। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়, যেন এটা মামুর বাড়ির আবদার। বিএনপি জনগণের ম্যানডেট নিয়ে কোনোদিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সেজন্যে তারা সবসময়ই আবোলতাবোল বলে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে। কোনো কাজ হবে না, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, আমি নৌকা নিয়ে আসবো। ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। নৌকার বিজয় হলে ও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে।
সুলতানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুবকর ছিদ্দিক খোকনের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য জননেতা সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দীপু, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম মাস্টার, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ূব আলী গাজী, উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক হানিফ দর্জি, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, গাজী ইলিয়াছুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাবু রাধেশ্যাম চান্দু, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন চৌধুরী, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পারভিন শরীফ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা মানিক দর্জি, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ, আওয়ামী লীগ নেতা আলী হোসেন, যুবলীগ নেতা গফুর সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, ছাত্রলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম রনি প্রমুখ।