বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

দুর্বল ভিতের গেট খুলে প্রধান শিক্ষিকা গুরুতর আহত
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা দিয়ে তৈরি করা গেট খুলে গেলে গেটের নিচে চাপা পড়েন খোদেজা বেগম নামের প্রধান শিক্ষিকা নিজে। এতে করে তিনি গুরুতর আহত হয়ে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২১ অক্টোবর শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জের দক্ষিণ সন্না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সরকারি বরাদ্দের টাকা ব্যয়ে দুর্বল কাজের কারণে এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগ বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের।

বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তর হওয়া দক্ষিণ সন্না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সাবেক প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার কারণে চলিত বছরের জানুয়ারি মাসে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা খোদেজা বেগম।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ে ২০২০ সালে দুই লাখ টাকার একটি সরকারি বরাদ্দ আসে। সেই বরাদ্দের টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের পুরো বারান্দা লোহার রডে তৈরি জালি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এছাড়া লোহার রডের জালি দ্বারা দুই অংশ বিশিষ্ট মূল গেট করার কারণে বিদ্যালয় বন্ধের সময়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে। লোহার রডের জালির পুরো এই গেটটি খুলে গিয়ে এর নিচে চাপা পড়েন প্রধান শিক্ষিকা।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্যে সকাল ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে যান প্রধান শিক্ষিকা। রডের নেটে গেটের তালা খুলতেই পুরো গেটটির বাইরের দিকে ভেঙ্গে পড়ে তার নিচে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হন প্রধান শিক্ষিকা। পরে বেশ ক’জন মিলে গেটটি উপরে তুলে শিক্ষিকাকে টেনে তোলেন।

বিদ্যালয়ের অভিভাবক বাবুল মিয়াজী জানান, খবর শুনে আমি গিয়ে দেখলাম মূলত কাজ নিম্নমানের আর দুর্বল হওয়ার কারণে পুরো গেটটি খুলে পড়ে গেছে।

বিদ্যালয়ের পাশের বাড়ির কাঠমিস্ত্রী হারেস গাজী জানান, গেটটি ফিটিং করার জন্যে ঝালাই ঠিক মতো না হওয়ার কারণে এমন হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রধান শিক্ষিকা (ভারপ্রাপ্ত) খোদেজা বেগম জানান, জাতীয় পতাকা টানানোর জন্যে বিদ্যালয়ে গিয়ে গেটটি খুলতেই পুরো গেটটি আমার উপরে পড়লে তার নিচে আমি চাপা পড়ি। অপর এক প্রশ্নে এই শিক্ষিকা জানান, আগের প্রধান শিক্ষিকা থাকাকালীন ২০২০ সালের দুই লাখ টাকার বরাদ্দ থেকে এই গেটের কাজটি করা হয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু ছাইদ চৌধুরী জানান, গেট পড়ে শিক্ষিকা আহতের খবর পেয়েছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়