বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

৩০টি কঠিন রোগের কারণ শব্দ দূষণ
অনলাইন ডেস্ক

‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক’ কর্মসূচির আওয়তায় শিক্ষার্থীদের জন্য সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ চাঁদপুর সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে এবং চাঁদপুর সরকারি কলেজের সহযোগিতায় গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় কলেজের সেমিনার কক্ষে প্রশিক্ষণপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজ দেশময় সামজিক অবক্ষয় মাথাচাড়া দিয়েছে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক। তাই সমাজে ছেলেদের দোষ-ত্রুটি তেমনভাবে দেখা হয় না। ছেলেরা দেশের বাইরে কাজ করতে গিয়ে কী করে তা সেভাবে না দেখে তার বউ দেশে কার সাথে কথা বলে সেদিকে বেশি নজর রাখে। সরকারের ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হলে বর্তমান প্রজন্মকে সুন্দরভাবে গড়ে উঠতে হবে। তোমাদের দিকে জাতি তাকিয়ে আছে।

তিনি বলেন, ইন্টারে ভালোভাবে উত্তরণ না হলে তোমদের সামনে বিরাট অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। তোমরা সকলে যদি এখন থেকে ভবিষ্যতে কী হবে তা নির্ধারণ না করো তাহলে তোমরা এগিয়ে যেতে পারবে না। শুধু সার্টিফিকেট অর্জন করলেই হবে না, সঠিকভাবে অধ্যয়ন করতে হবে। একটি উদাহরণ দিলে তোমরা বুঝবে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ করা হবে। তাতে একজন মাস্টার্স পাস ছাত্র ক্লিনার পদে চাকুরির আবেদন করেছে, সে নাকি জীব বিজ্ঞানে মাস্টার্স করা। কিন্তু সে ইংরেজিতে বায়োলজি বানান লিখতে পারেনি।

চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম মোসা, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাহাদাৎ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াছিন আরাফাত, চাঁদপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ খলিলুর রহমান। প্রবন্ধ উপস্থাপনপূর্বক বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান।

বক্তারা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ৩০টি কঠিন রোগের কারণ শব্দ দূষণ। শব্দ দূষণের কারণে শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মায়েরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে আমাদের এ বিষয়ে নাগিরিক সমাজকে সচেতন হতে হবে। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠিন আইন রয়েছে, তবে তা এখনো সেভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে না। সড়কে চলাচলরত যানবাহনে অতিরিক্ত হর্ন বাজানো যাবে না। প্রথম অপরাধের জন্যে এক মাস কারদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং পরবর্তীতে আবার আইন ভঙ্গ করলে ৬ মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শিক্ষার্থীরা হেড ফোন ব্যবহার করে, তাতে করে তাদের শ্রবণ শক্তি ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ হান্নান ও ইন্সপেক্টর শর্মিতা আহমেদ লিয়ার যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন লোতাওয়াত করেন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোঃ জহির আলম ও পবিত্র গীতা পাঠ করেন দিব্য চক্রবর্তী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়