বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

হত্যাকারী প্রেমিককে খুঁজছে পুলিশ ॥ প্রেমিকাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

হাজীগঞ্জ বাজারস্থ হকার্স মার্কেটের পাশে ট্রাক রোডে কথিত পরকীয়া সম্পর্কের কারণে এমরান হোসেনকে হত্যাকারী তার স্ত্রীর কথিত প্রেমিক সৈয়দ আশেক এলাহী বাবুকে খুঁজছে পুলিশসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বাবুর পরকীয়া প্রেমিকা ও নিহতের স্ত্রী ফারজানাকে থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত প্রবাসী এমরান হোসেনের বোন রীনা বেগম বাদী হয়ে বাবু ও ফারজানাসহ অজ্ঞাত ক’জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে নিহতের লাশের ময়না তদন্ত শেষে তার বাবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

এ হত্যার মূল আসামী বাবু শাহরাস্তি উপজেলার আজাগরা গ্রামের সৈয়দ বাড়ির সন্তান। ফারজানা ও বাবু সম্পর্কে বেয়াই-বেয়াইন। তাদের পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে একাধিক সালিস হয়েছে বলে মামলার বাদী রিনা জানান।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, এ ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে মামলা করা হয়েছে। ফারজানাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মূল আসামী বাবুকে গ্রেফতারে একাধিক টিম কাজ করছে।

উল্লেখ্য, ৮ অক্টোবর রোববার রাতে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ট্রাকরোডের ভাড়া বাসায় হত্যার শিকার হন সৌদী প্রবাসী এমরান হোসেন। তিনি স্ত্রী ফারজানাসহ একমাত্র সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। সেখানেই এ ঘটনা ঘটে। নিহত এমরান হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের দালাল বাড়ির মোঃ আবুল বাশারের ছেলে। তার স্ত্রী ফারজানা বেগম হাজীগঞ্জ উপজেলার জাখনি গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের মেয়ে।

নিহতের স্ত্রী ফারজানা বেগম জানান, রোববার এশার নামাজের সময় আশেক তাদের বাসায় আসে। এ সময় তার স্বামীর সাথে আশেকের কথা হয়। এরপর তিনি (ফারজানা) টয়লেটে যান, টয়লেট থেকে ফিরে এসে দেখেন আশেক তার স্বামীকে কোপাচ্ছে। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে আশেক ফারজানাকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। ফারজানা জানান, পরে আমি আমার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আশেক তাকে বিরক্ত করতো বলে ফারজানা জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়