বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

হাজীগঞ্জে কথিত পরকীয়ার জেরে প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

হাজীগঞ্জে কথিত পরকীয়া প্রেমের জেরে সৌদী প্রবাসী একজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে স্ত্রীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। প্রবাসীর নিজ ভাড়া বাসায় কুপিয়ে মারাত্মক জখমের পর পর কথিত পরকীয়া প্রেমিক পালিয়ে যায়। ৮ অক্টোবর রোববার রাতে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ট্রাকরোড়ের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

হত্যাকাণ্ডের শিকার সৌদিআরব প্রবাসী মোঃ এমরান হোসেন (৪০) ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের দালাল বাড়ির মোঃ আবুল বাশারের ছেলে। তার স্ত্রী ফারজানা বেগম (৩০) হাজীগঞ্জ উপজেলার জাখনি গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের মেয়ে। এই দম্পতির এক সন্তান রয়েছে।

নিহতের স্ত্রী ফারজানা বেগম জানান, রোববার এশার নামাজের সময় আশেক তাদের বাসায় আসে। এ সময় তার স্বামীর সাথে আশেকের কথা হয়। এরপর তিনি (ফারজানা) টয়লেটে যান, টয়লেট থেকে ফিরে এসে দেখেন আশেক তার স্বামীকে কোপাচ্ছে। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে আশেক ফারজানাকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। ফারজানা জানান, পরে আমি আমার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। আশেক তাকে বিরক্ত করতো বলে তিনি জানান।

নিহত এমরান হোসেনের বোন রিনা বেগম জানান, আমার ভাবীর (ফারজানা বেগম) সাথে তার বড় বোনের চাচাতো দেবর শাহরাস্তি উপজেলার আজাগরা গ্রামের সৈয়দ বাড়ির সৈয়দ আশেক এলাহী বাবুর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ ঘটনায় অনেক ঝামেলা ও দেন-দরবার হয়েছে। তারাই আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে।

এ সময় তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরো বলেন, তারা (ফারজানা বেগম ও সৈয়দ আশেক এলাহী বাবু) আমার ভাইকে পরিকল্পনা করে জবাই করে হত্যা করেছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই, আমি মামলা করবো।

এদিকে খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ট্রাক রোডস্থ আমেনার বাসার ৩য় তলায় হত্যাকাণ্ডের শিকার এমরান হোসেনের ভাড়া বাসা থেকে আলামত সংগ্রহ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ গোলাম মাওলা নঈম জানান, এমরান হোসেনকে আমরা হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাসপাতালে আনার পূর্বেই তিনি মারা গেছেন। কর্মরত চিকিৎসকের দেয়া তথ্য মতে, ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ফারজানা নামের একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, এমরান হোসেনের মরদেহ উদ্ধারপূর্বক সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এমরান হোসেনের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। আগামীকাল ময়না তদন্তের জন্যে মরদেহ চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়