বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে মোবারক হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥

ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে বিলকিস বেগম নামে নারীর অনৈতিক কাজে বাধা দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোবারক হোসেন (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর ও রক্তাক্ত জখম করে হত্যার ঘটনায় ৫ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে আদালত তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রোববার (৮ অক্টোবর) বিকেলে চাঁদপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মহসিনুল হক এই রায় দেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন : ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুুর গ্রামের মন্তি খাঁর ছেলে মোস্তফা (২৫) ও মিলন হোসেন (২৩), আব্দুর রহিমের স্ত্রী বিলকিস বেগম (৪০), তার ছেলে রিপন হোসেন (২৪) ও সাদ্দাম হোসেন (২৭)।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, আসামী বিলকিস বেগম তার বসতঘরে বাইরের লোকজন এনে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতেন। বাড়ির লোকজন ও স্বজনরা তাকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকার জন্যে অনুরোধ করতেন। কিন্তু তিনি কারো নিষেধ মানতেন না। ২০১৩ সালের ৮ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে আব্দুর রহিমের স্ত্রী বিলকিস বেগমকে অনৈতিক কাজের জন্যে নিষেধ করেন হত্যার শিকার একই বাড়ির মোবারক হোসেন। কেনো তাকে নিষেধ করা হলো সেজন্যে ক্ষিপ্ত হয়ে সংঘবদ্ধ অভিযুক্ত আসামীরা মোবারক হোসেন ও তার স্ত্রী নিলুফা বেগমকে বেদম মারধর ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে বাড়ির লোকজন ও আত্মীয়স্বজন তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর মধ্যে মোবারক হোসেনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রায় একমাস পরে ৩ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পরদিনে ৪ এপ্রিল মোবারক হোসেনের ছেলে মোঃ জিল্লুর রহমান বাদী হয়ে উল্লিখিত আসামীদের বিবাদী করে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করার জন্যে দায়িত্ব দেয়া হয় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক মোঃ আখতার হোসেনকে। তিনি মামলার দায়িত্ব পেয়ে ৫ এপ্রিল আসামী বিলকিস বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছর ৩০ নভেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটির (পিপি) রণজিত রায় চৌধুরী বলেন, মামলাটি ১০ বছরের অধিক সময় চলাকালীন আদালত ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। সাাক্ষ্যগ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা এবং আসামীরা তাদের অপরাধ স্বীকার করায় বিচারক এই রায় দেন। রায়ের সময় আসামী বিলকিস, সাদ্দাম ও মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন এবং আসামী মিলন ও রিপন হোসেন পলাতক রয়েছেন।

আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডঃ সানাউল্লাহ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়