প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি চিকিৎসক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ডাঃ সাইফুল ইসলাম হাসপাতালে বসে পশু চিকিৎসা করানোর চেয়ে বাইরে গিয়ে পশু চিকিৎসা করতে বেশি ভালোবাসেন। তিনি সকালে হাসপাতালে আসলেও দুপুর না হতেই হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান প্রাইভেটভাবে পশু চিকিৎসা করানোর জন্যে। তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় অনেকে গরু ও ছাগল নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তাকে পান না। উপায়ন্তর না পেয়ে ছাগলের মালিকরা উপজেলা পশু হাসপাতালে গিয়ে ছাগলের চিকিৎসা নিয়ে চলে আসেন। এমনকি ডাঃ সাইফুল ইসলাম বেশিরভাগ ছাগলের চিকিৎসা দিলেও বাইরের ঔষধ লিখে দেন। হাসপাতাল থেকে তেমন একটা ঔষধ দেন না। এ হাসপাতালে ছাগল নিয়ে আসা লোকজন বেশিরভাগই বাইরে থেকে ঔষধ ক্রয় করে নিতে হয় বলে অভিযোগ করেন।
এমনিভাবে অনিয়ম করে ডাঃ সাইফুল ইসলাম পশু চিকিৎসা করে থাকেন। জানা যায়, ডাঃ সাইফুল অনিয়ম করার ফলে হাসপাতালে নিয়ে আসা অনেক ছাগল বাড়িতে নিয়ে গেলে মারা যায়। এ রকম অভিযোগ করেন চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের এক বাসিন্দা।
তিনি জানান, প্রায় ২ মাস আগে তার একটি ছাগল জেলা পশু হাসপাতালে নিয়ে আসলে তখন ডাঃ সাইফুল ইসলামকে না পেয়ে অন্য একজন চিকিৎসক দেখে ঔষধ লিখে দেন। কিন্তু রাতে ছাগলটি মারা যায়।
গত ৪ অক্টোবর বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের সময় একটি ছাগল নিয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে পাওয়া যায় নি। হাসপাতালের একজন স্টাফ ছাগলের জ্বর মেপে বলেন, স্যার নামাজে গেছেন একটু বসেন।
২টা ৫ মিনিটের সময় ওই স্টাফ উপজেলা মসজিদে গিয়ে দেখেন তিনি মসজিদে নেই। এসে বলেন, ১০ মিনিট দেখেন। ততক্ষণে ছাগলটি জ্বরের তাড়নায় ছটফট করতে থাকে। ১০ মিনিট পরে ওই স্টাফ তাকে বলেন, ছাগলটি উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে। সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসক ছাগলটাকে দেখে ঔষধ লিখে দেন। দুর্ভাগ্যবশত ওইদিন রাত ১২টায় ছাগলটি মারা যায়।
এমনিভাবে অনিয়ম করে ডাঃ সাইফুল ইসলাম হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন বলে অনেকে অভিযোগ করেন। শুধু অনিয়মই নয়, তিনি গ্রামের গরু-ছাগলের চিকিৎসা করতে গেলে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকেন।
এ ব্যাপারে ডাঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যা বলেছেন তা সঠিক নয়।