প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ঘোষিত বহরিয়া বালুমহাল নিয়ে আপত্তি উঠেছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনও এই বালুমহল ঘোষণা বাতিলের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ে আপত্তি এসেছে মোট ১০টি। বুধবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেছে জেলা প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসাম্মৎ রাশেদা আক্তার জানান, বহরিয়া বালুমহাল ঘোষণা নিয়ে কারও আপত্তি আছে কিনা তা জানাতে ১০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। ওই সময় শেষ হয়েছে সোমবার। সদর লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের ১১৬ নং মৌজার বহরিয়া বালুমহাল নিয়ে ১০টি আপত্তি পড়েছে। আপত্তিগুলো রাজস্ব সেকশন থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী গত রোববার চাঁদপুর জেলা প্রশাসককে দেওয়া চিঠিতে বলেন, সরকার মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার ইলিশের অভয়াশ্রম ও প্রজনন কেন্দ্র ঘোষণা করেছে। এখন সেখানে বালুমহাল হলে ইলিশের প্রজননে বিরূপ প্রভাব পড়বে, নদীতে ভাঙ্গন দেখা দেবে এবং জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট হবে। তাছাড়া বহরিয়া বালুমহাল হলে নদীদূষণ রোধ এবং নদীর তীর ও শহর রক্ষা হবে না। চিঠিতে বহরিয়া বালুমহাল ঘোষণা বাতিলের দাবি জানানো হয়।
অন্য যারা আপত্তি জানিয়েছেন তাদের নাম এখনই প্রকাশ করতে চায়নি জেলা প্রশাসন। তবে জানা গেছে, তারাও ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষা ও নদীভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে বহরিয়া বালুমহাল ঘোষণা বাতিলের দাবি জানান। সূত্র : সমকাল।