প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের পশ্চিম সকদী গ্রামে গ্রাম্য ধাত্রী দিয়ে বাড়িতে ডেলিভারি করানোর খেসারত দিতে হলো একটি পরিবারকে। নবজাতক এবং গর্ভধারিণী মা উভয়ই মারা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সে এলাকার বিতর্কিত ধাত্রী শাহনাজ বেগমের হাতে প্রাণ গেলো এই নবজাতক ও তার গর্ভধারিণী মায়ের।
জানা যায়, বাগাদী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডস্থ পশ্চিম সকদী গ্রামের ওবায়েদ পাঠানের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী ফেরদৌসী বেগম (৩৩) গর্ভাবস্থায় ছিলেন। গতকাল শুক্রবার ভোরে একই এলাকার মিজান শেখের স্ত্রী গ্রাম্যধাত্রী শাহনাজ বেগম গিয়ে ফেরদৌসী বেগমকে ঘুম থেকে উঠিয়ে চেকআপ করে এবং ঔষধ খাইয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর ফেরদৌসী বেগমের প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে ডেলিভারি করায় ধাত্রী শাহনাজ বেগম। এ সময় ছোট অপারেশন করা হয়। মেয়ে সন্তানও প্রসব হয়। কিন্তু অপারেশনের জায়গায় সেলাই ঠিকভাবে না হওয়ায় ফেরদৌসী বেগমের প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। প্রায় ১/২ ঘন্টায় রক্ত বন্ধ না হলে তাকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর নিয়ে আসার পথে মা ও সন্তান দু’জনই মারা যায়। এ খবর পেয়ে ধাত্রী শাহনাজ বেগম পালিয়ে যায়। গতকাল বাদ এশা মা ও নবজাতক দুজনের নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, এই ধাত্রী শাহনাজ বেগমের হাতে ডেলিভারি করাতে গিয়ে এর আগেও ৪/৫ জন মহিলা ও নবজাতক মারা যায়। তার বিরুদ্ধে বাগাদী এলাকার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ কর্মীরাও অভিযোগ করেছেন। এই শাহনাজ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব কাজ করে থাকে। অথচ সে এই সংস্থার কোনো লোক না। গ্রামের অসচেতন মানুষগুলোও হাতের কাছে ধাত্রী পেয়ে আর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা কমিউনিটি ক্লিনিকে আসতে চায় না।