প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩, ০০:০০
![ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসার প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা](/assets/news_photos/2023/05/21/image-33247.jpg)
মাদ্রাসার প্রধান ফটক বন্ধ করে অধ্যক্ষসহ ৮টি পদের নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে আবেদন করেও প্রবেশপত্র না দেয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন একাধিক প্রার্থী। ঘটনাটি শনিবার (২০ মে) ফরিদগঞ্জের হর্নি দুর্গাপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় ঘটে।
জানা যায়, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের হর্নি দুর্গাপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় ৮ পদে নিয়োগের বিষয়ে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৮টি পদে শনিবার (২০ মে) পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন পদের অন্তত ৯ জন আবেদনকারী প্রবেশপত্র না পাওয়ায় তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন নি। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে শনিবার (২০ মে) সকালে সাকিল হোসেনসহ বেশ ক’জন যৌথভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন।
সরেজমিন শনিবার দুপুরে মাদ্রাসায় গেলে দেখা যায়, হর্নি দুর্গাপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার প্রধান ফটক বন্ধ। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ভেতরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা গভর্নিংবডির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল হোসেন বাবুল পাটওয়ারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে জোর করে মাদ্রাসার সভাপতি বানানো হয়েছে। নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। ‘মাদ্রাসার প্রধান ফটকে কী কারণে তালা ও বহিরাগতদের দ্বারা পাহারা দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বহিরাগতদের অনেক ঝামেলা রয়েছে, তাই ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। ‘৯ জন আবেদনকারীকে পরীক্ষার এডমিট কার্ড দেয়া হয়নি কেন’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের কাগজপত্রে ত্রুটি ছিল, তাই তাদের দেয়া হয়নি।
নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, আমি এই নিয়োগ কমিটিতে নেই। ‘নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোনো নিয়ম নেই। এমন যদি হয়ে থাকে তাহলে এটা নিয়ম বহির্ভূত।
নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহ-পরিচালক ও ডিজির প্রতিনিধি আবু নঈম জানান, আমি গতকাল শুক্রবারে শুনেছি যে, কিছু সংখ্যক নিয়োগ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্যে তাদের এডমিট কার্ড পায়নি। আজ এই এলাকায় দুটি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। আমি এর বেশি কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুন নেছা জানান, ক’জন পরীক্ষার্থী আমার কাছে এসে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্যে এডমিট কার্ড পয়নি বলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তারা আজ পরীক্ষার দিন অভিযোগ করায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।