প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩, ০০:০০
![হাজীগঞ্জে সম্পত্তিগত বিরোধে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ৮](/assets/news_photos/2023/05/20/image-33199.jpg)
হাজীগঞ্জে সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলায় একই পরিবারের ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছে। একই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির প্রতিপক্ষ নিজেরাও অংশ নেয়। শুক্রবার (১৯ মে) ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ছয়ছিলা গ্রামের মিয়াজী বাড়িতে। উক্ত হামলা দেলোয়ার হোসেন মিয়াজীর পরিবারের ওপর ঘটে। আহতদের বেশ ক’জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন : দেলোয়ার হোসেন (৬৫), সুরুজ মিয়া (৬০), ইমান হোসেন (৩৬), কাজল (৪০), জ্যোৎস্না (৩০), সুমি (২৫), আয়েশা (৪৫) ও ফাতেমা (৩০)।
দেলোয়ার হোসেন জানান, সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে এ দিন সকালে ওই বাড়ির বাহার উল্যাহ্ বাহার (৬৫), তার ছেলে টিটু (৪০), মেয়ে রোকসানা (৩৫) ও ঝলক (৩০) বাকিলা বাজার এলাকার বহিরাগত সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে একত্রিত হয়ে ২৫/৩০ জন মিলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আমাদের পিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে গুরুতর আহত করে। এছাড়া নারীদের সাথে থাকা স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্যান্য জিনিসিপত্র নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে আত্মীয়-স্বজন এসে আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আহত সুরুজ মিয়া জানান, ভাইয়ের ওপর হামলার খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি। তারা আমাদের ওপরও হামলা করে। এমনকি ভাইয়ের ঘরে মেহমান ছিলো, তাদেরকেও মারধর করে তারা। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এদিকে ওই সময়ে বাহার উল্যাহ্ বাহার ও টিটুকে না পাওয়ায় এবং তাদের মুঠোফোন (মোবাইল) নম্বর সংগ্রহ করতে না পারায় অভিযুক্তদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ-খবর নেই। ওই বাড়িতে অভিযুক্তদের না পাওয়ায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বাকিলা বাজার এলাকাসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় সক্রিয় একটি সিন্ডিকেট রয়েছে, যারা ভাড়ায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছে, যার জ্বলন্ত উদাহরণ দেলোয়ার গংয়ের ওপর হামলায় বহিরাগতদের নাম উঠে আসা।