প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৩, ০০:০০
বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরে দিনব্যাপী ব্যাপক সেবামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ৮ মে সোমবার চাঁদপুর শহরস্থ রেডক্রিসেন্ট ইউনিট কার্যালয়ে রেড ক্রিসেন্ট ও রেডক্রস আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা জিন হেনরী ডুনান্টের ১৯৫তম জন্মবার্ষিকীতে দিবসটি পালন উপলক্ষে এদিন সকালে চাঁদপুর শহরে বর্ণাঢ্য র্যালি, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, স্বেচ্ছায় রক্তদান, হাসপাতালে টিফিন বিতরণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণসহ আলোচনা সভার আয়োজন করে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীসহ যুব রেড ক্রিসেন্ট ও রেড ক্রসের আজীবন সদস্য ও চাঁদপুর ইউনিট কর্মকর্তাদের ব্যাপক উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন রেড ক্রিসেন্ট চাঁদপুর ইউনিট ও চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী। এ সময় রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের পতাকা উত্তোলন করেন সাধারণ সস্পাদক আলহাজ্ব এমএ মাসুদ ভূঁইয়া। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অতিক্রম শেষে চাঁদপুর প্রেসক্লাব সংলগ্ন চাঁদপুর ইউনিট কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে এখানে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় চাঁদপুর ইউনিট চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আজ বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস এবং রেড ক্রস ও রেডক্রিসেন্ট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা জিন হেনরীর ১৯৫তম জন্মদিন। এই মহান মানুষটি সেবার মনোভাব নিয়ে যে সংগঠনটি গড়ে তুলেছেন আজ তাঁর সেই সংগঠন সারা বিশ্বে সেবার দিক থেকে সর্ববৃহৎ সংগঠন হিসেবে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশ ছাড়াও নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সেবা দিয়ে যাচ্ছে। করোনাকালীন সময় রেড ক্রিসেন্টের হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মীর ভূমিকা ছিল অনন্য। তিনি করোনাকালীন সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অনবদ্য অবদানের কথাও স্মরণ করেন কৃতজ্ঞতার সাথে। তিনি বলেন, করোনাকালীন বিশ্বের অনেক দেশেই মহাবিপর্যয় নেমে আসে। তাদের ধারণা ছিল এ সময় বাংলাদেশেও মহাবিপর্যয় নেমে আসবে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে আমরা বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় আমরা বিনামূল্যে করোনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন পেয়েছি। তার এই প্রচেষ্টা বিশ্ব মাঝে প্রশংসিত হয়েছে। যে সকল সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান মানবিক ও সেবামূলক কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন তাদেরকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা যায় কিনা সেটি সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখতে বলেন। এ প্রেক্ষিতে রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক চাঁদপুর মাজহারুল হক বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল, চাঁদপুর ডায়াবেটিক সমিতি, করোনাকালীন সময়ে কর্মরত চিকিৎসকবৃন্দদের মাঝে অ্যাওয়ার্ড প্রদানের বিষয়টি তিনি প্রস্তাবনা করেন। তিনি রেড ক্রস ও রেডক্রিসেন্টের সেবার মান যাতে আরো বৃদ্ধি পায় সেজন্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, অনন্য উচ্চতায় চাঁদপুর রেড ক্রস ও রেডক্রিসেন্ট বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সেবা দিয়ে যাচ্ছে, যা সত্যি খুবই প্রশংসনীয়। তিনি সুন্দর আয়োজনের জন্যে দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ ইউনিটের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
চাঁদপুর ইউনিটের কার্যকরী সদস্য সুভাষ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এমএ মাসুদ ভূঁইয়া, কার্যকরী সদস্য স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বিল্লাল, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি রহিম বাদশা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব রেড ক্রস ও রেডক্রিসেন্ট দিবস-২০২৩ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও কার্যকরী সদস্য মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাটওয়ারী, সদস্য সচিব ও কার্যকরী সদস্য তমাল কুমার ঘোষ, কার্যকরী সদস্য অ্যাডঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আবু নাছের বাচ্চু পাটোয়ারী, চাঁদপুর ইউনিট কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন, কার্যকরী সদস্য মোর্শেদা ইয়াছমিন, শেখ মহিউদ্দিন রাসেল, কার্যকরী সদস্য লায়লা হাসান চৌধুরী, পারভেজ করিম বাবু, কল্পনা সরকার, তপন চন্দ্র চন্দ্র, ডাঃ পার্থ সারথী দে, শাহাদাৎ হোসেন খান মানিক প্রমুখ।