প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:০৫
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে মতলব উত্তরে সভা
২০২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে এক সভা বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর ২০২৪) সকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একি মিত্র চাকমা।
সভার শুরুতে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্মরণ-সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার একি মিত্র চাকমা বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার সমন্বিত গণঅভ্যুত্থানে দেশের জনগণ এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছে। জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ এখন সকলের দায়িত্ব। গণঅভ্যুত্থানে নতুন একটি অধ্যায় সূচনা হয়েছে। আমরা চাই আধুনিক ও বৈষম্যহীন সমাজ। বাংলাদেশে কোনো বৈষম্য থাকতে পারে না। তিনি আরো বলেন, যে কোনো প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য এবং এটি আমরা যুগে যুগে দেখতে পেয়েছি। সকল আন্দোলনে সবার পক্ষে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না। যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তারা আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে ও অন্যদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায়। যারা গণঅভ্যুত্থানে জীবন দিয়েছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন, দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেছেন এবং যে মায়েরা সন্তান হারিয়েছেন, সবারই আত্মত্যাগ সফল হোক। সবাইকে নিয়ে আমরা যেন সুন্দর বাংলাদেশ ও সুন্দর সমাজ গড়তে পারি।
স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ছেংগারচর পৌর প্রশাসক হিল্লোল চাকমা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবু সাঈদ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র দাস, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক, সাংবাদিক জাকির হোসেন বাদশা, সুমন আহম্মেদ, মাহফুজুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা জুবায়ের ইসলাম আসিফ, নাজমুল হাসান, শহীদ পারভেজের বাবা মো. সবুজ, শহীদ মো. সোহেলের চাচা মো. শাহআলম খান, আহত মিরাজের ভাই শরিফ হোসেন প্রমুখ।
স্মরণ সভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাশেষে মতলব উত্তরের ৭জন শহিদ পরিবারের মাঝে ৫ হাজার ও ১৩জন আহত পরিবারের মাঝে ৩হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন উপজেলা প্রশাসন।