প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে প্রায় সময়ে কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই বিক্রয় হয় বন বিভাগের গাছ। সর্বশেষ সিত্রাংয়ের আঘাতে উপজেলাব্যাপী অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়ে। এ সুবাদে বন বিভাগের গাছগুলো হরিলুট হয়ে যায়। বন কর্মকর্তাকে সামান্য টাকা দিয়ে যে যার মতো করে গাছ কেটে নিয়ে যায়।
গাছ কিনেছেন এমন ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, নগদ টাকা দিয়ে গাছ ক্রয় করা হয়েছে বন কর্মকর্তার কাছ থেকে। তথ্য নিয়ে দেখা যায়, যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই বন কর্মকর্তা তার খেয়াল খুশিমত গাছ বিক্রি করছেন। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে তার মুখের কথাই আইন। টাকার ভাগ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও নাকি দিতে হচ্ছে। এমন কথাই বললেন বন কর্মকর্তা মোঃ কাউছার আহমেদ।
২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পৌর এলাকার কেরোয়ায় গিয়ে দেখা যায়, ফরিদগঞ্জ-চান্দ্রা সড়কের পাশে মেহগনি ও রেইনট্রি গাছ কেটে নিচ্ছেন স্থানীয় মোঃ মফিজুল হক খন্দকার। তাকে গাছ কাটার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমি বন কর্মকর্তাকে ৬ হাজার টাকা দিয়ে গাছ কিনে নিয়েছি।
বনবিভাগের অফিসে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা মিলে বন কর্মকর্তা কাউছার আহমেদের। টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভাগ সবাইকে দিতে হয়, টাকা একা খাই না। তিনি আরো বলেন, গাছ কাটার জন্যে অনুমতি প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা বন কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুন নেছা বলেন, আমরা সিত্রাংয়ের কারণে রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ কর্তনের জন্য বন বিভাগকে বলেছি। কিন্তু কোনো ভালো গাছ কাটার বা বিক্রয় করার অনুমতি দেয়া হয়নি। যদি কেউ গাছ কাটে বা বিক্রি করে থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।