প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:১৬
কচুয়ায় বিএনপি'র অফিস বাড়ি-ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ড. মিলনের বাড়ির ফটক তোরণ ভাংচুর
চাঁদপুরের কচুয়ায় গত সোমবার বিকালে উপজেলার ১ নং সাচার ইউনিয়নের বায়েক মোড় বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা শরীফ হোসেন ও ছাত্রদল নেতা মাসুমের নেতৃত্বে বায়েক বাজারে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নিরবাহী কমিটির সদস্য, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ.ন.ম এহছানুল হক মিলনের গ্রুপের যাকে যেখানে পেয়েছে সেখানেই মারধর করে দোকান-পাট ভাঙচুর করে গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে এবং স্থানীয় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়, বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কচুয়ায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের গ্রুপের নেতা শরিফ হোসেন ও ছাত্রদল নেতা মাসুম ( মামুন দেওয়ানের ছেলে) এর নেতৃত্বে দফায় দফায় বায়েক বাজারের ব্যবসায়ীদের দোকান-পাট বাড়ি-ঘরে হামলা চালায় এতে জয়নগর গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে আবু সাঈদ(২৮) বায়েক গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে সাব্বির বায়েকের মনির হোসেনের ছেলে মাইনুদ্দিন,সিদ্দিকুর রহমান এর ছেলে মহিউদ্দিন জয়নগরের মহিবুল্লাহ সহ আরো অনেকে আহত হয়েছে। আহতরা প্রাণ ভয়ে দূর দূরান্তের হসপিটালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুর্বৃত্তরা হামলার সময় যাকে যেখানে পেয়েছে সেখানেই আক্রমণ করেছে বিএনপি'র ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লার দোকান-পাট, বাড়ি- ঘরে হামলা করেছে। বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ'র নাদিয়া ভ্যারাইটিজ স্টোরে হামলা চালিয়ে সামনে থাকা একটি বড় সাইজের ফ্রিজ ভাঙচুর করেছে। আ.ন.ম আহছানুল হক মিলনের সমর্থনে নির্মিত তোরণ, তোরণে সাঁটানো ব্যানার পেস্টুন পোস্টার সব ধ্বংস করে ফেলেছে,বায়েক বাজারে অনেক গুলো ফেস্টুন সাঁটানো ছিল সবগুলো ফেস্টুন ধ্বংস করে ফেলেছে। গৌরিপুর-সাচার-কচুয়া মহাসড়কে বায়েক বাজারের দুই ধারে দুইটা মিলনের সমর্থনে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছিল ওই দুইটা তোরণ ভাংচুর করেছে। আ.ন.ম এহছানুল হক মিলনের বায়েকের বাড়ির কাঠের তৈরি গেইট ভাঙচুর করেছে। সাচার বাজারে অবস্থিত ছাত্রদলের অফিস ভাঙচুর করেছে অফিসের আসবাবপত্র ধ্বংস করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং সাধারণ জনতার ভাষ্য মতে যেহেতু সকল ধবংশযজ্ঞ মিলন সমর্থকদের করেছে সেহেতু মোশাররফ গ্রুপের নেতা- কর্মীরাই সকল ঘটনা ঘটিয়েছে!
|আরো খবর
কচুয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন পাটওয়ারী সেলিম বলেন, যারা এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ করেছে তারা দলের কেউ নয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কচুয়ায় এহসানুল হক মিলনের জনপ্রিয়তায় হিংসান্বিত হয়ে একটি মহল এ ধরনের ধ্বংসলীলা চালায়।আমি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
এব্যাপারে মোশাররফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কচুয়া বিএনপি'র একমাত্র অভিভাবক। বিএনপি'র কারও ক্ষতি মানে আমার ক্ষতি। সুতরাং আমার কর্মীরা বিএনপি'র কারও গায়ে কখনো আঁচড় দিতে পারেনা! এটা আমার প্রতিপক্ষের সাজানো নাটক এবং ষড়যন্ত্র। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম. আবদুল হালিম বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির দু'গ্রুপের কেউ এখনও পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করে নাই। ক্ষতিগ্রস্ত কেউ অভিযোগ করলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।