প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
আমেরিকা প্রবাসী জামাল হোসেনের উদ্যোগে কচুয়ার ৩০টি দুর্গা মণ্ডপে লাগানো হয়েছে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা। গত সোম ও মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার ১৫টি মন্দিরে ক্যামেরা বসানোর কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। মন্দিরগুলো হলো : কোয়া পোদ্দার বাড়ি দুর্গা মন্দির, দাস বাড়ি দুর্গা মন্দির, কড়ইয়া দুর্গা মন্দির, করইশ দুর্গা মন্দির, বায়েক সরকার ও ঠাকুর বাড়ি দুর্গা মন্দির, বিতারা পাল বাড়ি দুর্গা মন্দির, ঘোগড়াবাড়ি দুর্গা মন্দির, আলিয়ারা ব্যাজবাড়ি দুর্গা মন্দির ও মাঝিগাছা দুর্গা মন্দির, সাচার পোদ্দার বাড়ি ও ঘোষ বাড়ি দুর্গা মন্দির, দোয়াটী দুর্গা মন্দির, কোমরকাশা দুর্গা মন্দির ও রাজাপুর দুর্গা মন্দির। আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে ৩০টি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।
এ বছর উপজেলায় ৩৮ দুর্গা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তন্মধ্যে ৮টি দুর্গা মণ্ডপে মন্দির কমিটির উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বাকি ৩০টি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রবাসী জামাল হোসেন।
আমেরিকা প্রবাসী ধামালুয়া গ্রামের জামাল হোসেন জানান, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অপতৎপরতা রোধে আমার প্রিয় কচুয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা উৎসবে কোনো দুষ্কৃতকারী যেনো নাশকতা করতে না পারে সেজন্যে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমার নিজস্ব অর্থায়নে উপজেলার ৩০টি পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে দিয়েছি। আমার প্রিয় বন্ধু কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক ভৌমিকের মাধ্যমে আমি সবক’টি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে পারায় তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও পূজা উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিক ভৌমিক বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী আমার প্রিয় বন্ধু হঠাৎ একদিন ফোন দিয়ে বলে, তোদের দুর্গা পুজা মণ্ডপে আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করে দিব। কিন্তু একটা শর্ত, তোকে এর দায়িত্ব নিতে হবে। তাঁর এ মহৎ উদ্যোগটিকে সাথে সাথে স্বাগত জানিয়ে রাজি হয়ে গেলাম। আমি ৩০টি পূজা মণ্ডপের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি তাঁর দীর্ঘায়ু ও সফলতা কামনা করছি এই মহৎ উদ্যোগটি নেওয়ার জন্য।