প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা, শান্তির পাদপীঠ বৃহত্তর মতলব উপজেলার সাংবাদিকতার পথিকৃৎ আবুল কাশেম পাটোয়ারী। তিনি ১৯৬৩ সালের ২২ মে টরকী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মতলব প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আবুল কাশেম পাটোয়ারী ১৯৮৪ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তাঁর নাম মতলবের প্রতিটি সাংবাদিকের মনে চির জাগরুক থাকবে। বাংলার বাণী পত্রিকার মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হন। সাংবাদিকতাকে ভালোবেসে তিনি এই পেশার সাথে যুক্ত হন। মতলবে একঝাঁক সংবাদ কর্মী তৈরিতে নব্বইয়ের দশকে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তাঁর প্রচেষ্টায় মতলব প্রেসক্লাব জায়গাটি পেয়েছে এবং তিনি ঘর ও আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। মতলব থেকে প্রকাশিত গোলাম সারওয়ার সেলিম সম্পাদিত মতলব কণ্ঠ এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত আজকের মতলব পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তিনি। মতলবে থাকাকালীন তিনি বেশ ক’টি ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনে তিনি সর্বদা নির্ভীক।
আবুল কাশেম পাটোয়ারী বর্তমানে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার প্রধান বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। মতলব প্রেসক্লাবের সভাপতি থাকাকালীন তিনি মতলবের সাংবাদিকদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। অসম্প্রদায়িক, মুক্ত চিন্তার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্যে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আবুল কাশেম পাটোয়ারী। তিনি বাংলাদেশ এডিটর ফোরামের সদস্য। সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী আবুল কাশেম পাটোয়ারী একজন সামনের সারির যোদ্ধা। তিনি সাংবাদিকদের সুরক্ষা অধিকার নিয়ে বহু সেমিনারে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
সাংবাদিক আবুল কাশেম পাটোয়ারী আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েও দীর্ঘ তিন যুগের উপরে সংবাদপত্র নিয়ে পড়ে আছেন। বাংলাদেশের একজন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি দেশের নামকরা প্রথম শ্রেণির দৈনিক পত্রিকায় সাংবাদিকতার ব্যবস্থা করে দিলেও নীতি-নৈতিকতার কারণে তিনি সে চাকুরিটি ছেড়ে দেন। দেশের বহু সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সাংবাদিক আবুল কাশেম পাটোয়ারীকে সেরা সংগঠক এবং সমাজ হিতৈষী হিসেবে সম্মাননা প্রদান করেছেন। সংগঠনগুলো হচ্ছে : সাপ্তাহিক আজকের মতলব, ঢাকা সামাজিক সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠী, জয় বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদ, মতলব উত্তর প্রগ্রেসিভ ফোরাম ও শিশু কিশোর পরিষদ। তিনি চাঁদপুর কণ্ঠের ‘সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের ভাবনা’ শিরোনামে সাক্ষাৎকার পর্বে অনেক দীর্ঘ ও তথ্যবহুল অভিমত ব্যক্ত করেছেন, যা নিচে পত্রস্থ করা হলো :-
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার উপজেলায় সাংবাদিকতা অতীতের সকল সময়ের চেয়ে কি গতিশীলতা পেয়েছে? গতিশীলতা পেলেও কি মান রক্ষা হচ্ছে?
আবুল কাশেম পাটোয়ারী : বাংলাদেশে নব্বইয়ের দশকের পর থেকেই প্রিন্ট জার্নালিজমের পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক জার্নালিজমও একটি ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে গেছে। আমাদের দেশে তথ্য প্রযুক্তির কারণে সাংবাদিকতার গতিশীলতা বেড়েছে, এ কথা চোখ বন্ধ করে বলা যাবে। আমাদের উপজেলাও এ গতিশীলতা থেকে পিছিয়ে নেই। বর্তমান সময়ে সংবাদ কর্মীরা তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে অতি দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করতে পারছেন এবং তা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পারছেন। একজন সাংবাদিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের কল্যাণে অতি দ্রুত মানুষের মনের মণি কোঠায় ঠাঁই নিচ্ছে। সাংবাদিকদের জন্য এ এক বিরল অর্জন। বর্তমানে সাংবাদিকরা অনেক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। আনেক প্রথিতযশা সাংবাদকর্মী নিজে চ্যানেল খুলে সংবাদ প্রচারের সুযোগ পাচ্ছেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : পত্রিকাগুলোর প্রিন্টিং সংস্করণের পাঠক এবং টিভি সংবাদের শ্রোতাণ্ডদর্শক দিন দিন কমছে। কারণ কী? এমনটি রোধের উপায় কী?
আবুল কাশেম পাটোয়ারী : আমার উপজেলা থেকে একটি দৈনিক ও ৩টি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। মফস্বল সাংবাদিকতার মান নিয়ে কিছু প্রশ্ন ছিল, আছে ও থাকবে। কিন্তু সেটা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না, সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে। মফস্বল সাংবাদিকতা করে কাউকে কাউকে নিঃস্ব হতে দেখেছি, রিক্ত হতে দেখেছি। তবুও পেশার টানে বা মায়ায় পড়ে অন্য কোনো কাজে যুক্ত হননি।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদপত্রকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সংবাদের পাঠক বা দর্শক কমেছে এ কথা ঠিক নয়। এ কথা একেবারেই মানতে রাজি নই। একটি টেলিভিশন ছিল, এখন ৪৫টি টেলিভিশন। ৬/৭টি পত্রিকা ছিল এখন ১ হাজার ২৭৭টি দৈনিক পত্রিকা। জাতীয় দৈনিক ২১৮টি, আঞ্চলিক বাংলা দৈনিক ২৯৩টি, ইংরেজি জাতীয় দৈনিক ৪০টি। ৪৮টি পত্রিকা আছে, যাদের প্রচার সংখ্যা এক লাখের বেশি। ১৪টি আনলাইন টিভি চ্যানেল আছে সরকার অনুমোদিত। সংখ্যা তত্ত্বের বিচারে পাঠক বেড়েছে।
স্বাধীনতার সময় সাড়ে সাত কোটি লোক ছিল, শিক্ষার হার ছিল কম। পাঠক সংখ্যা ১০% ধরলে পাঠক ছিল ৭ লাখ ৫০ হাজার। এখন শিক্ষার হার বেশি, লোক সংখ্যা ১৮ কোটি। পাঠক হার যদি ১৫% হয়, তাহলে বর্তমান পাঠক সংখ্যা হবে ২ কোটি ৭০ লাখ। সে হিসেবে পাঠক কমলো কোথায়? পাঠক বা দর্শক কমেনি বরং বেড়েছে। আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে যারা সকালের নাস্তার চেয়ে খবরের কাগজকে বেশি মূল্যায়ন করে। যেদিন খবরের কাগজ বন্ধ থাকে সেদিন অস্থিরতা বাড়তে থাকে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আজকাল গণমাধ্যমকর্মীদেরকে বিভিন্ন মহল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যবহার করতে চাইছে। অনেকে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ব্যবহৃতও হচ্ছে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনৈক্য/বিভাজন থেকে এমনটি হচ্ছে। আপনার অভিমত কী?
আবুল কাশেম পাটোয়ারী : গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বহু মত বহু পথের লোক ছিল, আছে ও থাকবে। প্রিন্ট মিডিয়া বলেন আর ইলেক্টনিক মিডিয়া বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে দেশের বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করে একথা অস্বীকার করবো না। তারপরেও অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। এখন তো মিডিয়া অনেক স্বাধীন, এইতো ক’দিন হলো হাইকোর্ট একটি আদেশ দিলো সাংবাদিকরা সংবাদ খুঁজবে, সংবাদ অনুসন্ধানে সরকারি-বেসরকারি যে কোনো স্থানে যে কোনো সময় যাবে, সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেয়া যাবে না। সাংবাদিকদের আদর্শগত কারণে এবং কর্পোরেট কালচারে এই বিভক্তিকে খুব বড় করে দেখা যাবে না।
সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। পৃথিবীতে এতো ঝুঁকি আর কোনো পেশায় আছে বলে আমার জানা নেই। করোনাকালীন সময় ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৯৪টি দেশে মাসে গড়ে ১১৬জন সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির বিবেক। ঝুঁকির্পূণ জেনেও সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির কল্যাণে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছে। একটু ভুল করলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয় মামলা হয়, এমন কি হত্যার শিকার হতে হয় সাংবাদিকদের। জনগণের কল্যাণে দেশের প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যে সাংবাদিকগণ, কখনো কি কেউ খবর নিয়েছে সাংবাদিকরা কেমন আছে?
চাঁদপুর কণ্ঠ : সংবাদ পরিবেশনে তাৎক্ষণিকতাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অনলাইন সাংবাদিকতার জোয়ার। এতে কেউ কেউ অপসাংবাদিকতার সুযোগ বা আশ্রয় নিচ্ছে। সকল সংবাদের ক্ষেত্রে কি তাৎক্ষণিকতা জরুরি? আপনার মতামত জানতে চাই।
আবুল কাশেম পাটোয়ারী : সংবাদ দ্রুত এবং সঠিক সংবাদ প্রকাশ করা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। তা না হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংবাদমূল্য থাকে না। তবে দ্রুত প্রকাশ করতে গিয়ে যেন ভুল না হয় সেদিকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ একটি ভুল সংবাদের কারণে দেশ, জাতি, প্রতিষ্ঠান, সমাজ, ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সকল সংবাদের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকতা জরুরি নয়, একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করতে দিনের পর দিন, মাস লেগে যেতেও পারে। প্রকৃত সত্যটাই পাঠক জানতে চায়, আর একজন ভাল সাংবাদিকের উচিত পাঠককে প্রকৃত সত্যটা জানানো।
চাঁদপুর কণ্ঠ : উপরোক্ত প্রশ্ন সমূহের বাইরেও আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে প্রদান করতে পারেন।
আবুল কাশেম পাটোয়ারী : সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, সাংবাদিকতা একটি মজার পেশা। আমি পেশা না বলে মনে করি নেশা বলাই শ্রেয়। কারণ মানুষ তাঁদের মাধ্যমেই জানতে পারে ঘুম থেকে উঠে রাত অবধি দেশ, কাল, সমাজে কী ঘটেছে। দ্রব্যমূল্য কতোটা বাড়ল, আবহাওয়া কেমন থাকবে, দেশের অর্থনীতির হালচাল, রাজনীতির খবরা-খবর, খেলাধুলার খবর-এ সবই পৌছে দেন একজন সাংবাদিক।
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে সম্পর্ক বহু আগে থেকে। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ মিডিয়া তালিকাভুক্ত করতে গিয়াসউদ্দিন মিলনকে নিয়ে সহযোগিতা করেছিলাম। আমার মামা ডিএফপির ডিরেক্টর ছিলেন।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা যারা কাজ করি সাংবাদিক হিসেবে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বা টেলিভিশনে, আমাদের সুরক্ষায় যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে তার একটি নমুনা তুলে ধরলাম মাত্র। সে আইনের প্রতি আমাদের দেশ বা সমাজ কতটা যত্নশীল তা আমরা প্রত্যেকেই জানি।
আমাদের দেশে পত্র-পত্রিকা প্রকাশ ও প্রকাশ অব্যাহত রাখা এতো সহজ ছিল না। বিভিন্ন নির্বতনমূলক আইন, ফৌজদারী আইন, প্রিন্ট ও পাবলিক্যাশন অ্যাক্ট ১৯৪৭ প্রভৃতির মাধ্যমে সম্পাদক, মালিক সাংবাদিকদেরকে কারাবরণ, অর্থ দণ্ড (জরিমানা), বাজেয়াপ্তসহ বিভিন্ন নির্যাতন সাংবাদিকদেরকে ভোগ করতে হয়েছে। ১৭৮০ সালে হিকির গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর অদ্যাবধি সাংবাদিক সমাজকে নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের সংবিধান আমাদেরকে দিয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের তৃৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকার ৩৯ অনুচ্ছেদের (১)-এ লিখা আছে, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল। ২ (ক)-এ লিখা আছে, প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার আধিকার এবং (খ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল।
এই হলো আমাদের দেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের ব্যক্তির চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। জাতি সংঘের ১৯৪৮ সালের মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণায় বলা হয়েছে ‘প্রত্যেকের মতামত ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে;’ এই অধিকারে হস্তক্ষেপ ছাড়াই মতামত রাখা এবং কোন গণমাধ্যমের তথ্য ও ধারণাগুলো অনুসন্ধান করা, গ্রহণ এবং স্বাধীনতার সীমানা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত।
গণমাধ্যমে পরির্বতন আসছে, এখন আর কেউ প্রিন্ট মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকছে না। আমাদেরকে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের সাংবাদিকতার ইতিহাস ২৪২ বছরের পুরানো, রেডিও ১৯৩০ খেকে ১৯৪০-এর দশকে তা শীর্ষে পৌঁছেছিল। রেডিও এসেছিল ১৯২০ সালে, টেলিভিশন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে আসলেও ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে বিস্তৃতি লাভ করেছিলো। ২০০০ সালের পর থেকে ইন্টারনেট নিজ খরচায় সংবাদ এবং বিজ্ঞাপন ব্যাপক প্রচারের ফলে সংবাদপত্রগুলো কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে ছিল। বিশেষ করে ছোট ছোট পত্রিকার কাটতি কমতে থাকে। বড় পত্রিকাগুলো তাদের স্ট্র্যাটেজি চেঞ্জ করে এখন অনলাইন সংস্করণ চালু করেছে। আমার বিশ্বাস, পত্রিকার পাঠক দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তথ্য প্রবাহের এই অবাধ স্বাধীনতাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করাত হবে। আমাদেরকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না।