মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

সাংবাদিকদের রাজনৈতিক বলয়ে বেশি থাকতে দেখা যাচ্ছে
মাহবুব আলম লাভলু ॥

রাকিবুল ইসলাম সোহাগের সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে এমকম (ব্যবস্থাপনা) পাস করার পর থেকে শুরু হয় পত্রিকার পাতায় লেখালেখি। ১৯৯৭ সাল থেকে মফস্বল সাংবাদিকতা করেন তিনি। দৈনিক জনতা দিয়ে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু। দৈনিক জনতায় মতলব প্রতিনিধি হিসেবে আছেন। তিন বছর এশিয়ান টেলিভিশনের মতলব প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া সাপ্তাহিক মতলব বার্তার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মতলব উত্তর প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে মতলব উত্তর উপজেলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হয়ে আট বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

রাকিবুল ইসলাম সোহাগ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের ভাবনা বিষয়ে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকদের রাজনৈতিক বলয়ে বেশি থাকতে দেখা যাচ্ছে। তার সাক্ষাৎকারটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার উপজেলায় সাংবাদিকতা অতীতের সকল সময়ের চেয়ে কি গতিশীলতা পেয়েছে? গতিশীলতা পেলেও কি মান রক্ষা হচ্ছে?

রাকিবুল ইসলাম সোহাগ : জি¦ কিছুটা গতিশীলতা পেয়েছে। তবে মান একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : পত্রিকাগুলোর প্রিন্টিং সংস্করণের পাঠক এবং টিভি সংবাদের শ্রোতাণ্ডদর্শক দিনদিন কমছে। কারণ কী? এমনটি রোধের উপায় কী?

রাকিবুল ইসলাম সোহাগ : না, এখনো ঐ ভাবে প্রিন্টিং ও টিভি সংবাদের শ্রোতা বা দর্শক কমে নাই। তবে মানহীন ফেসবুক-সাংবাদিক বেড়ে যাওয়ায় অনেক সাধারণ মানুষ বা পত্রিকা পাঠক না বুঝেই অনলাইন সংস্করণে ঝুঁকছে। প্রিন্ট পত্রিকা জগতে কিছুটা হলেও এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এমনটি রোধে সংবাদ কর্মীদের সুসংগঠিত, যুগোপযোগী তথ্য সংগ্রহ করে আাধুনিক মননে সংবাদ উপস্থাপন করতে হবে। সমসাময়িক বিষয় চিন্তা করে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পাঠকের চাহিদা ঠিক রাখতে হবে বলে মনে করি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আজকাল গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বিভিন্ন মহল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যবহার করতে চাইছে। অনেকে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ব্যবহৃতও হচ্ছে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনৈক্য/বিভাজন থেকে এমনটি হচ্ছে। আপনার অভিমত কী?

রাকিবুল ইসলাম সোহাগ : বর্তমানে মেধাভিত্তিক সাংবাদিকতা অনেকটাই কমে গেছে। বেড়ে গেছে লেজুড় ভিত্তিক সাংবাদিককতা। বিশেষ করে সাংবাদিকদের রাজনৈতিক বলয়ে বেশি থাকতে দেখা যাচ্ছে। ফলে স্বাধীন সাংবাদিকতা স্বাধীন মতাদর্শে থাকতে পারছে না সাংবাদিক মহল। এর উপরে রয়েছে অর্থনৈতিক একটি বিষয়। হাউজ থেকে যে সম্মানী দেয়া হয় তা কিছু হাউজ ছাড়া বর্তমানে সময়ে একেবারে অপ্রতুল। যার কারণে অনেক মহলের হাতিয়ার হয়ে ব্যবহার হতে বাধ্য হচ্ছে। হচ্ছে নৈতিক অবক্ষয়ের রাস্তা। কমছে সাংবাদিকতার মান ও সম্মান।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সংবাদ পরিবেশনে তাৎক্ষণিকতাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অনলাইন সাংবাদিকতার জোয়ার। এতে কেউ কেউ অপসাংবাদিকতার সুযোগ বা আশ্রয় নিচ্ছে। সকল সংবাদের ক্ষেত্রে কি তাৎক্ষণিকতা জরুরি? আপনার মতামত জানতে চাই।

রাকিবুল ইসলাম সোহাগ : বর্তমান সময়ে মাত্র একটি দামী ফোন হাতে নিতে পারলেই অনেকে সাংবাদিক বনে যাচ্ছে। যার কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চিন্তা না করে বা না ভেবে অথবা ভালো মতো তথ্য সংগ্রহ না করেই দ্রুত সংবাদ পরিবেশন করার অসুস্থ যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তা এককথায় ভয়াবহ। আগপাছ না ভেবেই যে ভাবে ফেসবুক-সাংবাদিকতা শুরু হয়েছে তা এককথায় আশংকাজনক। ফলে বেড়ে গেছে এই পেশায় ভুঁইফোড় ও শিক্ষাহীন অপ-সাংবাদিকতা। আধুনিক যুগে সবাই সঠিক সময়ে সঠিক সংবাদ চায়, তার মানে এই নয় ছাইপাঁশ পরিবেশন করতে হবে। সংবাদের ক্ষেত্রে সঠিক মান অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি। তাৎক্ষণিকতা জরুরি নয় বলে মনে করি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : উপরোক্ত প্রশ্ন সমূহের বাইরেও আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে প্রদান করতে পারেন। রাকিবুল ইসলাম সোহাগ : স্বাধীন ও বুদ্ধিভিত্তিক সাংবাদিকতা আজ অস্তমিত। সময় হয়েছে আমাদের এক টেবিলে বসার। উত্তরণের পথ এখনো রুদ্ধ হয়নি। সমাধানের পথ আমাদেরকেই বের করতে হবে। আসুন ঐক্যবদ্ধ হই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়