মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

শ্রেণীকক্ষ সঙ্কটে ফরিদগঞ্জের দলমগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
এমরান হোসেন লিটন ॥

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৭৭নং দলমগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষ সঙ্কটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। পড়ালেখা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক, বাহ্যিক জ্ঞানসহ শিক্ষামূলক নানা কর্মকাণ্ডে বিদ্যালয়টি এগিয়ে থাকলেও রুম সঙ্কটের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ফরিদগঞ্জ সদর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার পথ দূরে ২নং বালিথুবা ইউনিয়নের দলমগর গ্রামে বিদ্যালয়টি অবস্থিত।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের জানুয়ারি মাসে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। তৎকালীন এলাকার উদ্যমী যুবক মিজানুর রহমান মজুমদারসহ আরো ক’জন শিক্ষানুরাগীর উদ্যোগে এলাকার কয়েকজন দানশীল ব্যক্তি বিদ্যালয়ের নামে ৩৩ শতক জমি দান করেন। তারা একটি দোচালা টিনের ঘর করে প্রাথমিকভাবে পাঠদান শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য আলমগীর হায়দার খানের প্রচেষ্টায় ৫ কক্ষ বিশিষ্ট একটি দোচালা টিনের ভবন নির্মাণ করা হয়। কয়েক বছর পর বর্ষা মৌসুমে ভবনটির অফিস কক্ষসহ প্রত্যেক শ্রেণীকক্ষে পানি পড়তে থাকে। এতে ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে নতুন একটি ভবন করলেও সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ রুম না থাকায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানে চরম ব্যাঘাত ঘটছে।

দলমগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করার পর হতে অদ্যাবধি সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিভিন্ন পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীরা মেধা তালিকায় স্থান পেয়ে আসছে।

এলাকার অভিভাবকরা বলেন, বিদ্যালয়ে দুটি ভবন থাকলেও একটি পরিত্যক্ত এবং নতুন ভবনটি ২০০৭ সালে করলেও তাতে রুম সঙ্কট রয়েছে। তারা পরিত্যক্ত ভবনের স্থলে পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ সম্বলিত নতুন ভবন নির্মাণ, খাবার পানি সঙ্কট নিরসনসহ নানা সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদা খানম বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারী সঙ্কট না থাকলেও শ্রেণীকক্ষের তীব্র সঙ্কট রয়েছে। আমাদের বিদ্যালয় থেকে প্রতি বছরই দু-তিনজন জিপিএ-৫সহ শতভাগ শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আসছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছে ১শ’ ২২ জন। দলমগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সৃষ্টি এবং প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্যোক্তা সাচনমেঘ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন, আমার নিজ গ্রাম দলমগর। গ্রামটি তৎকালীন সময়ে শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং খেলাধুলায় একেবারেই পিছিয়ে ছিল। পরে আমি আরো ক’জনসহ এলাকার দানশীল ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হই। দানশীল ব্যক্তিরা প্রয়োজনীয় জায়গা দিতে সম্মত হন। বিদ্যালয়টি সৃষ্টির পর থেকে আমাদের গ্রামটি ক্রমশ আলোকিত হয়ে উঠছে। তিনি বিদ্যালয়ের দাতা সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার জোর দাবি জানান।

বিষয়টি নিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দলমগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবনের প্রয়োজনীয়তা আছে, সেটা আমরা অবগত আছি। অচিরেই ফরিদগঞ্জে ক’টি বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমোদন আসবে। সেখানে হয়তো দলমগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়