বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

পত্রিকা বিক্রি করাই ইসমাইলের পেশা ও নেশা
এমকে মানিক পাঠান ॥

ফরিদগঞ্জে পত্রিকা বিক্রি করাকেই নিজের পেশা ও নেশা হিসেবে নিয়ে এখনো টিকে আছেন তিনি। তার নাম হচ্ছে ইসমাইল হোসেন (৬৩)। একটানা প্রায় ৪০ বছর যাবৎ পত্রিকা বিক্রি করে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোই কাটছে তার স্বাভাবিক জীবনযাপন । বাড়তি কোনো চাওয়া পাওয়া কিংবা অর্থ সম্পদ গড়ার সুযোগ পেয়ে যৌবনে তিনি অন্য কোনো পেশায় যাননি। রোদণ্ডবৃষ্টি উপেক্ষা করে সাইকেল চালিয়ে পাঠকের হাতে পত্রিকা তুলে দেয়া ইসমাইল হোসেন এখন বাড়ি ফিরেন তার ক্রয় করা নিজস্ব মোটরসাইকেল যোগে।

গত সোমবার হকার ইসমাইলের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার বাড়ি পাশর্^বর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার কেরোয়া গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত মহিম আলী। ১৯৮৪ সাল থেকে পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। দরিদ্রতা ঘোচাতে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ২৫ বছর বয়সে নিজের এলাকা ছেড়ে ফরিদগঞ্জে অফিস পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত পত্রিকা বিক্রি শুরু করেন । সেই শুরু থেকে গত ৪০ বছর ধরে এখনো এ পেশায়ই আছেন তিনি। রোদণ্ডবৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিদিনই ইসমাইল তার সাইকেলের পেছনে পত্রিকা বেঁধে ছুটে চলেন বিক্রির আশায়। ফরিদগঞ্জে সবার কাছে তিনি অতি পরিচিত মুখ। উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৫ ইউনিয়নে পত্রিকা বিক্রির জন্য এক সময়ে হকার ছিল ৭ জন। একমাত্র ইসমাইল ছাড়া সবাই চলে গেছেন অন্য পেশায়।

৫ ভাই ২ বোনের মধ্যে ইসমাইল ছিল সবার বড়। তার বর্তমানে রয়েছে স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে। সংগ্রামী এই হকার তার এক ছেলেকে পাঠিয়েছেন বিদেশে। নিজের বসতভিটি ছাড়া উল্লেখ করার মতো তেমন কিছু নেই। সবার সাথে হাসি-খুশিতে থাকা হকার ইসমাইল হোসেন প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে ফরিদগঞ্জে চলে আসেন পত্রিকা বিক্রি করতে। পত্রিকা বিক্রি শেষে ক্লান্ত দেহ নিয়ে ফিরে যান নিজ বাড়িতে। তিনি জানান, পত্রিকা বিক্রি শেষে তার প্রতিদিন খরচ শেষে আয় হয় মাত্র ৪/৫শ’ টাকা । এই নিয়ে খুশিতে ফিরে যান বাড়িতে।

ইসমাইল জানান, এক সময় ফরিদগঞ্জে ৭ জন হকার ছিলো। এখন একমাত্র তিনি ছাড়া আরো কোনো হকার নেই। আগের মতো পত্রিকা বিক্রি হচ্ছে না। ‘পত্রিকা কম বিক্রির কারণ কী’ বলে মনে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে হকার ইসমাইল বলেন, পত্রিকায় একপেশে রিপোর্ট ও মানুষের হাতে থাকা মোবাইলে সবাই দিনের খবর দিনে পাওয়ায় আগের মতো পত্রিকা বিক্রি হয় না। তবে কয়েকটি পত্রিকায় ভিন্ন স্বাদ ও আমেজের রিপোর্ট করায় হাতে গোণা সে পত্রিকাগুলো নির্দিষ্ট পাঠক সবসময়ই কিনে থাকে অর্থাৎ বিক্রি করতে কোনো বেগ পেতে হয় না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়