প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
দেশের বৃহত্তম ইলিশ অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটের আড়তগুলো এখন ফাঁকা। ইলিশের আমদানি কম থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছে শতাধিক মৎস্য ব্যবসায়ী। স্বল্প সংখ্যক মাছ আমদানি হলেও দাম অনেক চড়া। যা সাধারণ ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এ বছর মেঘনা ও পদ্মা নদী থেকে জেলেরা ফিরছেন খালি হাতে। যে কারণে সরগরম থাকা চাঁদপুর মাছঘাটের অধিকাংশ আড়তে এখন সুনসান নীরবতা। সাগর ও উপকূলীয় নদণ্ডনদীর ইলিশও তেমন আসছে না।
২২ আগস্ট সোমবার দুপুরে মাছঘাটে দেখা গেছে ঘাট-পন্টুন পুরোটাই ফাঁকা। মাছের নৌকা বা ফিশিং বোট নেই। আড়তগুলোর লেবাররা পন্টুনে অলস সময় কাটাচ্ছে। ইলিশের টুকরিগুলো স্তূপ করে রাখা। মৎস্য ব্যবসায়ীর সংখ্যাও খুব কম। মাত্র ক’টি আড়তে বসে আছেন কর্মচারীগণ । সামনে অল্প মাছ নিয়ে বিক্রির জন্য বসে আছেন খুচরা ইলিশ বিক্রেতা। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের আমাদানি না থাকায় ব্যবসায়ীর দেখা মিলেনি। বড়স্টেশন শহর রক্ষাবাঁধে মোলহেড এলাকায় ঘুরতে এসে অনেকে শখের বশত মাছ কিনতে মাছঘাটে ঢুকলেও দাম শুনে অবাক। লোকাল কিছু ইলিশ টুকরিতে সাজিয়ে রাখা ছিলো। আকারভেদে দাম হাঁকা হয়েছে হাজার বারোশ টাকা থেকে ১৭-১৮শ’ টাকা কেজি। দাম খুব বেশি। যে কারণে কিনতে পারছে না অনেকে। ঘাটের ইলিশ বিক্রেতা বিপ্লব খান বলেন, মাছের আমদানি কম থাকায় দাম একটু বেশি।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির পরিচালক ছানাউল্লাহ জানান, ইলিশের আমদানি খুবই কম। ঘাটে ফুটবল খেলা যাবে। সব মিলিয়ে দেড়-দুইশ মণ মাছ আমদানি হয়েছে, যেখানে আগে প্রতিদিন গড়ে দুই-তিন হাজার মণ ইলিশের আমদানি ও বিক্রি হয়েছে।
ঘাটের আড়তদার মেজবাহ মাল বলেন, আমাদের এখানে মেঘনা নদীতে ইলিশ নেই বললেই চলে। মাছ খুব কম আমদানি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এখন ইলিশের ভরা মওসুম, কিন্তু মাছ নেই। সামনে সেপ্টেস্বর মাস। এ মাসেই ইলিশের আমদানি বাড়বে বলে আশা করেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ক’দিনের ব্যবধানে দুই দফা সাগর ও উপকূলীয় নদনদী এলাকায় নিম্নচাপ থাকায় জেলারা ইলিশ শিকারে যেতে পারেনি। কিছু জেলে সাগরে গেলেও হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে কিছু নৌকা ও ট্রলার নিমজ্জিত হয়েছে এবং অনেক জেলের প্রাণহানি ঘটে। এখনো অনেক জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা যায়।