শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করায় ইমামকে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ!
  •   এনআইডিতে ভোটার এলাকা হিসেবে থাকছে না বর্তমান ঠিকানা
  •   জাহাজে ৭ খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি
  •   নিখোঁজের একদিন পর বৃদ্ধের মরদেহ মিললো পুকুরে
  •   সৌদি আরবে বাংলাদেশের ১৬তম  রাষ্ট্রদূত মো. দেলোয়ার হোসেন

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২১, ০০:০০

১৮ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করবে চাঁদপুর পৌরসভা
রাসেল হাসান ॥

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে চাঁদপুর পৌরসভা। ঈদের দিন বেলা ১২টা থেকেই বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে মাঠে নামবে পৌরসভার ১৫০ পরিচ্ছন্ন কর্মী। ঈদের দিন বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৭ ঘণ্টা এবং ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা টানা কাজ করবে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। এই ১৮ ঘণ্টায় পৌরসভার সকল কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে চাঁদপুর পৌরসভা।

পৌরসভার দৈনন্দিন নিয়মিত পরিচ্ছন্ন কাজের বাইরে পৃথক এ উদ্যোগে গ্রহণ করা হয়েছে। যথাযথভাবে পরিচ্ছন্ন কাজ তদারকির জন্য পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে গঠন করা হয়েছে পৃথক মনিটরিং সেল। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে প্রতিটি মনিটরিং সেল তদারকি করবে নিজ ওয়ার্ডের বর্জ্য পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম। প্রতিটি ওয়ার্ডে জনবহুল স্থানে মনিটরিং সেলের ব্যানার টানানো থাকবে। যাতে একাধিক হট লাইন নম্বর দেয়া থাকবে। কোনো ওয়ার্ডে বর্জ্য থেকে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা নির্দিষ্ট নম্বরে কল করলেই পরিচ্ছন্ন কর্মীরা গিয়ে বর্জ্য অপসারণের উদ্যোগ নিবে।

এ বছর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে ৫০টি ভ্যানে ১৫০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী বর্জ্য অপসারণ কাজে নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি ভ্যানে একটি করে ড্রামে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার মজুদ থাকবে। পৌর মেয়রের নেতৃত্বে সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়োজিত থাকবেন ৬ জন সুপারভাইজার।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, পৌরসভার দৈনন্দিন পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের বাইরে ঈদের দিন অর্ধবেলা ও ঈদের দ্বিতীয় দিন পূর্ণ বেলা বিরতিহীনভাবে কাজ করবে পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। পৌরসভার কোনো ওয়ার্ডেই যেন বর্জ্য জমা না থাকে সেজন্যে আমরা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে পৃথক মনিটরিং সেল গঠন করেছি। পরিচ্ছন্নকর্মীরা কাজ করার পরও যদি কোথাও কোনো বর্জ্য থেকে যায় তাহলে মনিটরিং সেলের জরুরি নম্বরে কল করলেই সেখানে পৌরসভার ভ্যান পৌঁছে যাবে। ঈদের দিন থেকেই আমি ও আমার সকল কাউন্সিলর বিষয়টি নজরদারিতে রাখবো।

কোরবানির পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে পৃথক কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিণ্ডনা জানতে চাইলে পৌর মেয়র বলেন, ঈদের দ্বিতীয় দিন ওয়ার্ড ভিত্তিক বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ করে পরবর্তী ৫ দিন পৌরসভার ইজারাকৃত ৫টি গরুর হাটে বর্জ্য অপসারণে কাজ করবে পরিচ্ছন্ন টিম। দুর্গন্ধযুক্ত স্থানে ব্লিচিংসহ জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দেয়ারও নির্দেশনা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়