শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করায় ইমামকে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ!
  •   এনআইডিতে ভোটার এলাকা হিসেবে থাকছে না বর্তমান ঠিকানা
  •   জাহাজে ৭ খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি
  •   নিখোঁজের একদিন পর বৃদ্ধের মরদেহ মিললো পুকুরে
  •   সৌদি আরবে বাংলাদেশের ১৬তম  রাষ্ট্রদূত মো. দেলোয়ার হোসেন

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২১, ০০:০০

স্টুডিও মালিক-কর্মচারীদের মানবেতর জীবন-যাপন
বিমল চৌধুরী :

করোনাকালীন স্টুডিও মালিক ও কর্মচারীদের চলছে মানবেতর জীবন-যাপন, মিলেনি কোনোরূপ সাহায্য সহযোগিতা। মানুষের মনের চাহিদা অনুযায়ী তার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলে স্মৃতির অ্যালবামে বন্দি করে রাখে যে শিল্পী কলা কুশলীগণ, আজ তাদের হৃদয়ের অন্ধকার কেউ দেখছে না। করোনাকালীন সময় হতে যারা বিভিন্ন কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তাদের মধ্যে স্টুডিও শিল্পীরাও রয়েছেন। কথায় বলে, তোমার রেখে যাওয়া চিত্রপটই তোমার পরিচয় জানান দিবে তোমার আপনজনের মাঝে। মনে করিয়ে দিবে তোমার উপস্থিতি, তুমিও ছিলে আমাদেরই একজন। অথচ যারা এমন ছবি তোলার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন, আজ তাদের অনেকেই হতাশার মাঝে দিন কাটাচ্ছেন। করোনার কারণে দীর্ঘ ১৬ মাস স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন অফিস আদালত। ঘর থেকে বের হতে পারছে না মানুষ। ফলে সবকিছুর উপরই নেমে এসেছে একটা স্থবিরতা। আর এই স্থবিরতায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্টুডিও শিল্পের সাথে জড়িত শত শত কর্মী। যার ফল স্বরূপ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে এই পেশার সাথে জড়িতদের। তারা লকডাউন ব্যতীত নিয়মিত স্টুডিও খুললেও দেখা মিলছে না পূর্বের ন্যায় কাস্টমারের।

স্কুল, কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছবি তোলার জন্য স্টুডিওতে ভিড় করছে না কোনো ছাত্র-ছাত্রীও। মনের সৌন্দর্যরূপ তুলে ধরার জন্যে বর্তমান সময়ে আর কেউ আসছেন না ছবি তোলার জন্য। ফলে অনেকটাই কর্মহীন ও অর্থহীন হয়ে পড়েছেন এ পেশার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টগণ। তাদের অনেকেই এখন দৈন্যতার মাঝে দিন অতিবাহিত করছেন খেয়ে না খেয়ে। তাদের অবস্থা এখন এমন পর্যায়ে রয়েছে, তারা না পারছে সইতে, না পারছে কইতে। পরিবার-পরিজন নিয়ে অভাব-অনটনের মধ্যে দিয়েই তাদের দিন কাটছে নীরবে নিভৃতে।

অথচ তাদের দুঃখ-দুর্দশা, হতাশার কথা কেউ জানতে চায়নি বা জানার চেষ্টাও করেনি বলে আক্ষেপ জানালেন স্টুডিওর উপর নির্ভর করে সংসার চালানো মালিক টিটু দাস। তিনি বলেন, মানুষের ছবি তুলেই আমাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। অথচ করোনার কারণে এখন আর কেউ আগের মত ছবি তুলতে আসে না। কেউ ছবি তোলে প্রয়োজনে, আর কেউ ছবি তোলে নিজের স্মৃতিময় সময়গুলো ধরে রাখার জন্য। কিন্তু মহামারি করোনা সবই স্তব্ধ করে দিয়েছে। ফলে আমরা হয়ে পড়েছি দিশেহারা। একদিকে কর্মচারী, অন্যদিকে সংসার। কী করবো কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। মাননীয় সরকার প্রধান করোনাকালীন বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে পেশাজীবীদের সাহায্য-সহযোগিতা করলেও আমরা এখনো কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। তিনি এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

চাঁদপুর জেলা সদরে প্রায় শতাধিক স্টুডিও শিল্পের সাথে জড়িত বহু কলা-কুশলী। তাদের অনেকেই সরকারি কোনো প্রণোদনা না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন। তারা মনে করেন, তাদের বর্তমান দুরবস্থা দূরীকরণে মাননীয় জেলা প্রশাসক মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়াসহ তাদের সাহায্যর্থে এগিয়ে আসবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়