প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
দুই যুগের বন্দী জীবন কাটছে প্রতিবন্ধী শিল্পী আক্তারের
মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের উত্তর লুধুয়া গ্রামে কখনো হাতে, কখনো বা পায়ে বেঁধে রাখা হয় প্রতিবন্ধী শিল্পী আক্তার (৩২)কে। দিনে বাড়িতে গাছের সাথে আর রাতে ঘরে চৌকির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয় তাকে। দুই যুগের বেশি সময় ধরে এভাবেই সময় কাটছে তার। মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েটির টাকার অভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা।
জানা যায়, শিল্পীর বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। আছে সৎ-মা আর ৪ ভাই, ২ বোন। ভাইদের মধ্য কেউ মামার বাড়িতে আর কেউবা শ্বশুর বাড়িতে থাকে। কেউ রিকশা চালায় আর কেউ কাঠমিস্ত্রির কাজ করে।
বড় ভাই লিটন জানান, জন্মের পর হঠাৎ প্রতিবন্ধীর মতো হয়ে পড়ে শিল্পী। যখন বাবা ছিলো তখন স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক ও কবিরাজ দিয়ে তাকে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু সুস্থ হয়নি। ক্রমেই মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। সুযোগ পেলেই এদিক-সেদিক চলে যায়। এজন্যে বাধ্য হয়ে আটকে রাখা হয়।
তিনি আরও জানান, অভাবের সংসারে তিনিই একমাত্র উপার্জনের উৎস। ভাইয়েরা বিয়ে করে আলাদা সংসার করেছে। শিল্পীকে নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছি। সহযোগিতার মধ্যে একটি ভাতা কার্ড করে দেয়া হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে তার ভরণপোষণ হয় না।
স্থানীয় ক’জন বাসিন্দা জানান, অতি দরিদ্র পরিবারটির পক্ষে শিল্পী আক্তারের চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। তবে উন্নত চিকিৎসা পেলে হয়তো সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। তাই যদি কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় তাহলে পরিবারটির খুবই উপকার হতো।