প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২১, ০০:০০
মহামারি করোনায় সংক্রমণ হারের দিক থেকে চাঁদপুর জেলার অবস্থান শীর্ষস্থানীয় জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে। প্রতিদিনই এ জেলায় ৪৫-৫০ শতাংশ রোগী সংক্রমিত হচ্ছে। বিশেষ করে চাঁদপুর সদর, শাহরাস্তি, মতলব দক্ষিণ ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। লকডাউনের চলমান শিথিলতায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়ার আশংকা রয়েছে। এমতাবস্থায় ঈদ পরবর্তী চাঁদপুরকে সুরক্ষিত রাখতে নতুন কোনো কর্মপরিকল্পনা আছে কি-না সে বিষয়ে চাঁদপুর কণ্ঠ থেকে কথা বলা হয় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিসের সাথে।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা জেলা প্রশাসন থেকে ইতোমধ্যে বিভিন্ন বাস্তবসম্মত কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। প্রতি ইউনিয়নে করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেছি। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে তৎপর আছেন। ঘরমুখো মানুষকে ঘরে রাখতে আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালাচ্ছি। তবুও চাঁদপুরে সংক্রমণের হার কমানো যাচ্ছে না। ক্রমেই হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। রোগীর চাপ সামাল দিতে চাঁদপুরে বিকল্প হাসপাতাল করার জন্যে চেষ্টা চলছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমাদের মেধা-শ্রম দিয়ে আমরা চেষ্টা করছি করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য। তবুও চাঁদপুরকে রক্ষা করতে হলে প্রশাসনের পাশাপাশি সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। জেলার সকল সচেতন নাগরিক, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সুধী মহল সকলকে সহযোগিতা করার জন্যে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের আর কী করা উচিত, কী ধরণের যৌক্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে সে বিষয়ক যে কোনো পরামর্শ লিখিত বা মৌখিক ভাবে যে কেউ দিতে পারেন। সকল যৌক্তিক বাস্তবধর্মী পরামর্শ গ্রহণ করতে আমরা প্রস্তুত আছি।
অঞ্জনা খান মজলিস আরো বলেন, আমি মনে করি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের স্যোসাল মিডিয়ায় সচেতনতামূলক লেখনী, জনগণকে স্যোস্যাল ডিসটেন্স মানতে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। চাঁদপুরটা আমাদের সবার, সকলে মিলে একযোগে কাজ করলে মহামারি নিয়ন্ত্রণ করে চাঁদপুরকে করোনামুক্ত জেলা ঘোষণা করাটা অসম্ভব কিছু নয়।