প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২২, ০০:০০
হাবিবা আক্তার। আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়ছেন হাজীগঞ্জের বেলচোঁ কারিমাবাদ ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায়। একই মাদ্রাসা থেকে সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া দাখিল পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ২ ভাই ১ বোনের মধ্যে মেঝো সে। স্থানীয় বেলচোঁ বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবার স্বপ্ন এখন হাবিবাকে ঘিরে। মেয়ে যেহেতু পড়ালেখায় বেশ ভালো সেহেতু মেয়ে যতটুকু পড়তে চান ততটুকু পর্যন্ত পড়াবেন।
হাবিবার মাদ্রাসার অফিস সূত্রে জানা যায়, পিইসিতে তার জিপিএ ছিলো ৪.৩৩। জেএসসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিসহ জিপিএ-৫। পড়ালেখায় ক্লাসে বরাবর সে সেরা।
মাদ্রাসা কমপ্লেক্সে হাবিবার সাথে কথা হলে তিনি জানান, পিইসিতে খারাপ ফলাফলের পর ক্লাসে স্যারেরা বলতে লাগলেন আমার খারাপ ফলাফলের কারণ কী। ক্লাসে পড়া ঠিক মতো দিতে না পারলে স্যারেরা বকা দিতেন। একটা সময় মাথায় এলো আমার সহপাঠীরা পড়ালেখা পারলে আমি কেনো পারবো না। মূলত স্যারদের বকা দেয়া কথাগুলো আমাকে ভালো করার উৎসাহ জুগিয়েছে। ভবিষ্যতে কী হবো সেটা চিন্তা করবো আলিম পরীক্ষার পর। তবে মানুষ হতে হবে আমাকে এটাই বড় কথা।
বেলচোঁ বাজারের ক্ষুদ্র স্টেশনারী ব্যবসায়ী হাবিবার বাবা আক্তার হোসেন বেপারী চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, আমার মেয়েটা মেধাবী, তার পড়ালেখা যতদূর পর্যন্ত সে পড়বে ততদূর পর্যন্ত আমি পড়াবো। মেয়ের ভালো ফলাফলের জন্য আমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারণ তাঁরা উৎসাহ না দিলে মেয়ে হয়তো ভালো ফলাফল করতে পারতো না।
মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর আশ্রাফী জানান, হাবিবা পড়ার প্রতি প্রচ- আগ্রহ আমাদের সবাইকে হতবাক করে। আমরা সব শিক্ষার্থীকে ভালোভাবে তৈরি করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। হাবিবার মেধা অসাধারণ।