প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর শহরসহ উপজেলাগুলোতে বিত্তশালী, সম্পদশালী, শত কোটি, হাজার কোটি টাকার মালিক আছেন বহু। কিন্তু মহামারী করোনাকালে অসহায় মানুষদের পাশে তাদের দেখা যাচ্ছে না। অথচ তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় যখন জনসাধারণের সামনে উপস্থাপন করা হয়, তখন তাদের একেকজনকে জনদরদী, বিশিষ্ট সমাজসেবক, গরিবের বন্ধু, নিঃস্বার্থ সমাজকর্মী ইত্যাদি আরো কতো বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয়। এসব সম্পদশালী আর বিত্তশালীদের দীর্ঘ এই মহামারীকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে এখন পর্যন্ত কাউকে দেখা যায়নি।
চাঁদপুর শহরে রাজনৈতিক অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রচুর রয়েছেন অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক। এরা বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের মধ্যেও আছেন এবং বিপরীত রাজনৈতিক দলের মধ্যেও আছেন। আবার এমনও আছেন যারা সব সরকারের সময় একচেটিয়া অর্থ সম্পদ গড়ে যান। এরা কে কীভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তা অনেকেরই জানা। কেউ ভূমিদস্যুতা করে, কেউ তদবির বাণিজ্য করে, কেউ সিন্ডিকেট গড়ে একচেটিয়া ঠিকাদারি করে, কেউ পরিবহন সেক্টরে একক আধিপত্য বিস্তার করে এভাবে আরো নানা উপায়ে বৈধ-অবৈধ পন্থায় অর্থ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। নিজের নামে, পরিবারের সদস্যদের নামে নগদ অর্থসহ অঢেল ধন সম্পদ রয়েছে তাদের। এতো অর্থ সম্পদ থাকার পরও এ পর্যন্ত তাদের কাউকে অসহায় দুঃস্থ মানুষের পাশে দেখা যায় নি। একইভাবে উপজেলাগুলোতেও। ভিআইপি, সিআইপির অভাব নেই। অথচ নিজ এলাকার মানুষদের খোঁজ-খবর রাখছেন না। এই দুর্যোগকালে বিত্তশালীদের এমন ভূমিকা দেখে সচেতন মানুষগুলো যেমনি হতাশ, তেমনি চরম ক্ষুব্ধও। চাকরির সুবাদে সরকারের উচ্চ পদস্থ যে সব কর্মকর্তা চাঁদপুরে আছেন, তাঁরা চাঁদপুরের বিত্তশালী সম্পদশালীদের সম্পর্কে তেমন একটা ভালো ধারণা পোষণ করছেন না এই দুর্যোগকালে তাঁদের পাশে না পেয়ে। তাই বাস্তবতার আলোকে অসহায়দের এখন পর্যন্ত একমাত্র ভরসা সরকারি সহায়তা। কিন্তু শুধুমাত্র সরকারি সহায়তায় বিপুল জনগোষ্ঠীকে দীর্ঘমেয়াদি সরকারি সহায়তা করা সম্ভবও নয়। এই বাস্তবতা থেকেই জেলা প্রশাসক প্রায়ই চাঁদপুরের বিত্তশালী সম্পদশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।