প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২১, ০০:০০
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে চাঁদপুরের সাথে পাশর্^বর্তী জেলায় যাতায়াতের জন্য লঞ্চ, ট্রেন ও বাস তিন শ্রেণির গণপরিবহণই চলাচল করে থাকে। করোনার ঊর্ধ্বগতির ফলে গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ ও লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। আরো আগ থেকেই থেকেই বন্ধ রয়েছে লঞ্চ ও ট্রেন।
আসন্ন ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে চলমান লকডাউন শিথিল করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ বিষয়ক পৃথক প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়। লকডাউন শিথিল করে সকল ধরনের গণপরিবহণ চালুর ঘোষণা আসলেও কিছু যাত্রী ও চালকদের মানতে হবে কঠিন কিছু শর্ত। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত শর্তসমূহগুলো হলো:
১। বাস/ মিনিবাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলতে হবে। পাশাপাশি আসনে বসা যাবে না। গণপরিবহনে আসন বিন্যাস করতে হবে আড়াআড়িভাবে। অর্থাৎ, কোনো আসনে জানালার পাশে যাত্রী বসলে পেছনের আসনের যাত্রীকে করিডরের পাশের আসনে বসতে হবে।
২। অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলার কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হবে, তা পুষিয়ে নিতে বিদ্যমান ভাড়ার অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের।
৩। চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া সকল লঞ্চ চলাচলে যাত্রীদের নির্দিষ্ট দূরুত্ব বজায় রেখে প্রায় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে হবে। যে সকল লঞ্চ অর্ধেকের বেশি যাত্রী নিবে তাদের গুণতে হবে মোটা অংকের জরিমানা। লঞ্চের কেবিনের টিকেট পূর্বের মতই অপরিবর্তিত থাকবে। তবে ডেকের বা সৌখিনের যাত্রীদের ভাড়া মূল ভাড়ার অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ আদায় করা যাবে।
৪। গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/ কন্ডাক্টর, চালকের সহকারী ও টিকিট বিক্রির দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। তাদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৫। যাত্রার শুরু ও শেষে বাস-মিনিবাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। জীবাণুনাশক ছিটিয়ে এসব যান জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া যাত্রীদের হাতব্যাগ ও মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৬। গণপরিবহনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করতে হবে। শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৭। চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনে অর্ধেকের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। ট্রেনের টিকেট অনলাইনে কাটতে হবে যাত্রীদের।
৮। অ্যাপের মাধ্যমে বা সরাসরি চলাচলকারী রাইডশেয়ারিং সেবার বৈধ যানবাহনও চলতে পারবে পূর্বের নিয়মে তবে সে ক্ষেত্রে চালক ও আরহণকারীর হেলমেট থাকা বাধ্যতামূলক।
৯। সিএনজি অটোরিক্সা, পায়ে চালিত রিকশা ও মিনি মাইক্রোবাসগুলো চলবে পূর্বের নিয়মে তবে এ ক্ষেত্রে যাত্রী ও চালকদের নাক ও মুখ ঢেকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক থাকতে হবে।
এর বাইরে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া অন্যান্য শর্তও সবাইকে পালন করতে হবে। লকডাউন শিথিলের এই বিধান বহাল থাকবে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত।
ঘোষিত লকডাউন শিথিলের মেয়াদ পরবর্তী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর আলোকে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রেও বিআরটিএ আলাদা নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই সময় সড়কে গণপরিবহন ও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানের চলাচল এই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।