প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
মঙ্গলবার রাতে শাহরাস্তি উপজেলার নরহ গ্রামে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পর এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। নিহত ৫ জনের বাড়ি শাহরাস্তি উপজেলায় না হলেও এ ঘটনাটি শাহরাস্তি উপজেলাবাসীর মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সারাদিন উক্ত ঘটনাটি নিয়ে শাহরাস্তি থানা পুলিশ ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করে। বুধবার বিকেলে শাহরাস্তি থানা পুলিশ মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্যে চাঁদপুরে প্রেরণ করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনরা মৃতদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। বিভিন্ন সূত্রে সংবাদ পাওয়া যায় যে, স্বজনরা মৃতদেহগুলো নিয়ে বাড়ি ফিরলে এলাকায় কান্নার রোল পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের মধ্যে ৩ জন ছাত্রলীগের নেতা রয়েছেন। এদের ৩ জনের বাড়িই কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলায়।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান শামিম জানান, এদের মধ্যে তুষার কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তার পিতা ছিদ্দিকুর রহমান খোকন ইউপি সদস্য, সাকিল হাসনাবাদ ইউনিয়নের নরপাইয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, রেজাউল করিম ঝলম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
জানা গেছে, প্রাইভেটকারটি ড্রাইভিং করেছেন গাজীপুর সদর থানার সাগর হোসেন। তাদের সাথে ছিলেন তাদের বন্ধু যশোরের শার্শা উপজেলার নয়ন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ৫ বন্ধু কুমিল্লায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা শাহরাস্তির চিতোষী হয়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ এলাকায় যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা কবলিত হন। এদিকে দুর্ঘটনা কবলিত নরহ গ্রামের লোকজন সড়কের অব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা সড়কটির বাঁক কমিয়ে দুর্ঘটনা রোধের ব্যবস্থা নিতে সড়ক বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন, অনিয়ন্ত্রিত গতি ও রাস্তার বাঁক চিহ্নিত না থাকার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে ময়নাতদন্তে বাধা দিতে গিয়ে উত্তেজিত জনতা চিতোষী ব্রিজের পাটাতন খুলে ফেলার পর সকালে শাহরাস্তি থানা পুলিশের উপস্থিতিতে সড়ক বিভাগের সহায়তায় ব্রিজের পাটাতন লাগানো হয়। এরপর পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।